কলকাতা

বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও উত্তপ্ত বিধানসভা, নারী নির্যাতন নিয়ে তৃণমূল সরকারকে নিশানা বিজেপির

বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে নারী নির্যাতনের ইস্যুতে আরও একবার উত্তপ্ত হল রাজ্য বিধানসভা ৷ বুধবার বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক অগ্রিমিত্রা পাল এবং মালতি রাভা রায়ের নেতৃত্বে ছয় বিজেপি বিধায়ক মুলতুবি প্রস্তাব জমা করেছিলেন । অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রস্তাব পেশ করতে দিলেও, তা নিয়ে আলোচনা করার অনুমতি দেননি । আর তাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভার অধিবেশন । এ দিন এই ইস্যুতে বিধানসভার ভেতরে হইচই করতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা । তার মধ্যেই চলতে থাকে বিধানসভার কার্যকাল । এই অবস্থায় ১০ মিনিট চিৎকার চেঁচামেচি করার পর অধ্যক্ষ অধিবেশনের বিরতি ঘোষণা করেন । অধ্যক্ষের তরফ থেকে বিরতি ঘোষণা হলে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার সাউথ গেটের বাইরে এসে এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন । এ দিন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল অভিযোগ করেছেন, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর শাসনে সুরক্ষিত নয় মেয়েদের সম্মান ।বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি এবং মহিলা ও শিশুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে যে এ দিন মুলতুবি প্রস্তাব জমা করা হবে আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সেই মতো এ দিন প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে ওই প্রস্তাব উত্থাপন করেন মালতী রাভা রায়, সুমিতা সিনহা, চন্দনা বাউরি, শিখা চট্টোপাধ্যায়, তাপস মণ্ডল, অগ্নিমিত্র পাল । এই ঘটনায় তাঁরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ান দাবি করেন । যদিও এ দিন বিধানসভায় ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী । অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের এই প্রস্তাব পাঠ ছাড়া আর কোনও কিছুর অনুমতি না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত ‘পুলিশ মন্ত্রী ধিক্কার’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে হইচই করতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা । নিজের আসনে দাঁড়িয়েই সরব হন তাঁরা । কালো কাপড় ছিল তাঁদের হাতে ৷ সেটা নিয়েও তাঁরা চিৎকার করতে থাকেন ৷দশ মিনিটেরও বেশি এই পরিস্থিতিতে চলতে থাকে সভার কাজকর্ম । এরপর বিরতি ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় । ওই সময়ে অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার দক্ষিণ দিকের গেটে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান । এরপর আলোচনার সুযোগ না দেওয়ার জন্য কড়া সমালোচনা করেন অগ্নিমিত্র পাল । তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন হচ্ছে শিশুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বিধানসভাতেও আপনারা বলতে দেবেন না । তাহলে কিসের জন্য বিধানসভা রেখেছেন ? সব বন্ধ করে দিন ।’’ শাসকের বিরুদ্ধে বিরোধীদের কণ্ঠরোধেরও অভিযোগ করেছেন তিনি ।