জেলা

বোটানিক্যাল গার্ডেনের রেলিং টপকে গঙ্গায় ঝাঁপ ৩ বন্ধুর, রাতভর খোঁজাখুজির পর মিলল দেহ

বৃহস্পতিবার গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছিল প্রসেনজিৎ মাঝি। রাতভর গঙ্গায় তল্লাশি চালিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ। জানা গেছে, বি-গার্ডেন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার প্রসেনজিৎ মাঝি, সোনু মাঝি ও আকাশ মাহাতো নামে তিনজন শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে আড্ডা মারছিল। তাদের সন্দেহজনক গতিবিধি দেহে গার্ডেনের নিরাপত্তারক্ষীরা কথা বলার জন্য তাদের দিকে এগিয়ে গেলে তাঁরা রেলিং টপকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয়। সোনু ও আকাশ গঙ্গা থেকে উঠে এলেও প্রসেনজিতের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। যদিও নিখোঁজ যুবকের পরিবারের দাবি নিরাপত্তারক্ষীদের তাড়া খেয়েই গঙ্গায় ঝাঁপ দিতে বাধ্য হয়েছিল তাঁরা।  সোনু মাঝি, আকাশ মাহাতো ও প্রসেনজিৎ মাঝি।  জানা গিয়েছে, টিকিট না কেটেই বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ করেছিল ওই তিন যুবক। সেই কারণেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের ধরতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তখনই এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিবপুর থানার পুলিশ। অন্ধকার হয়ে যাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজে সমস্যা হচ্ছিল। রাত হয়ে যাওয়ার কারণে ডুবুরি নামানোর ঝুঁকি নেয় রিভার ট্রাফিক ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সোনু ও আকাশকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও প্রসেনজিতের কোনও খোঁজ মিলছিল না। রাতভর গঙ্গায় তল্লাশি চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে উদ্ধার হয় প্রসেনজিৎ মাঝির দেহ। রিভার ট্রাফিক ও হাওড়া বোটাটিক্যাল গার্ডেন থানার পুলিশ দীর্ঘক্ষণের চেষ্টার পর তাঁর দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে প্রসেনজিতের দুই বন্ধু সোনু ও আকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রসেনজিতের পরিবারের তরফে এখনও অবধি থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।