2006 সালের মুম্বই লোকাল ট্রেন বিস্ফোরণ মামলায় 12 জনকে বেকসুর খালাস করল বম্বে হাইকোর্ট। যার মধ্যে 5 জন মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ৷ সোমবার বিচারপতি অনিল কিলোর ও বিচারপতি শ্যাম সি চন্দকের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন ৷ ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আসামীদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷ 2006 সালের 11 জুলাই ৷ সন্ধ্যা 6টা 23 এবং 6টা 28 মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরণ হয়েছিল মুম্বইয়ের সাতটি লোকাল ট্রেনে। যার জেরে মুম্বইয়ের শহরতলীর লোকাল ট্রেনের বগিগুলিতে রক্তবন্যা বয়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনায় 180 জনের মৃত্যু হয় ৷ আহতের সংখ্যাটা প্রায় হাজারের কাছাকাছি ৷ ঘটনার 9 বছর পর অর্থাৎ 2015 সালের 30 সেপ্টেম্বর বিশেষ আদালত রায় দেয় ৷ বিস্ফোরণ-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হয় 12 জনকে। পাঁচ জনকে ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত। বাকি সাত জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ দোষীদের মধ্যে কামাল আহমেদ মহম্মদ ওয়াকিল আনসারি, মহম্মদ ফয়সাল আতাউর রহমান শেখ, এহতেশাম কুতুবুদ্দিন সিদ্দিকি, নাভিদ হুসেন খান রশিদ হুসেন খান এবং আসিফ খান বশির খান ওরফে জুনেদ ওরফে আবদুল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় তানভির আহমেদ মহম্মদ ইব্রাহিম আনসারি, মহম্মদ মজিদ মহম্মদ শফি, শেখ মহম্মদ আলি আলম শেখ, মহম্মদ সাজিদ মারগুব আনসারি, মুজাম্মিল আতাউর রহমান শেখ, সুহাইল মেহমুদ শেখ এবং জামির আহমেদ লতিফুর রহমান শেখ। আব্দুল ওয়াহিদ উদ্দিন মহম্মদ শেখ একমাত্র ব্যক্তি যিনি সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছিলেন বিশেষ আদালতে। 2021-এর 19 এপ্রিল নাগপুরের একটি হাসপাতালে কোভিড-19-এ আক্রান্ত হয়ে এক আসামী মারা যায় ৷ দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পেশ করা যায়নি। এই অভিযুক্তরাই যে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। তাই 12 জনের দোষী প্রমাণিত হওয়ার রায় খারিজ করা হল। আদালতের মতে, কী ধরনের বোমা ব্যবহার করে বিস্ফোরণ ঘটেছিল সেটাও জানা যায়নি। তদন্তে পাওয়া প্রমাণের সঙ্গেও বিস্ফোরণের যোগ নেই। ফলে 12 অভিযুক্তকে ‘বেনিফিট অফ ডাউট’ দেওয়া হয়েছে। জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছে 12 জন।


