খেলা

হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি, আড়াই বছরের জেল হল কিংবদন্তি টেনিস তারকা বরিস বেকারের

আগেই উঠেছিল জালিয়াতির অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আড়াই বছরের জেল হল কিংবদন্তি টেনিস তারকা বরিস বেকারের। ৫৪ বছরের বরিসকে ঋণ পরিশোধ না করার জন্য, সম্পত্তি গোপন ও কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এটা ঘটনা, ২০১৭ সালে বরিস বেকার নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন। শুক্রবার দেউলিয়া আইনের অধীনে চারটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বেকার। নিজেকে যখন দেউলিয়া ঘোষণা করেন তিনি, তখন নিজের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির পুরো তালিকা দেননি বরিস। সেই ভিত্তিতেই ঘোষণা করা হয়, বরিস বেকার দেউলিয়া। এই অভিযোগ ওঠার পর বরিসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় আদালতে। তদন্তে জানা যায়, তিনি সঠিক তথ্য দেননি। ১৯৮৫ ও ৮৯ সালে উইম্বলডন, ১৯৯১ ও ৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন ও ১৯৯২ সালে অলিম্পিক সোনা জয়ের কথা তিনি জানাননি। এমনকি নিজের মার্সিডিজ বিক্রি করে পাওয়া ১.‌১৩ মিলিয়ন ইউরো তিনি লুকিয়েছিলেন। জার্মানিতে থাকা তাঁর দুটো সম্পত্তির পাশাপাশি প্রায় সাড়ে আট লক্ষ ইউরোর ব্যাঙ্ক লোনও লুকিয়েছিলেন বেকার। বেকারের মামলার বিচারক ডেবোরা টেলর বলেছেন, এই ঘটনার জন্য বরিস কোনও অনুশোচনা দেখাননি। এমনকি বরিস নিজের অপরাধ স্বীকারও করেননি। বিচারপতিরা বরিসকে সম্পত্তি লুকিয়ে রাখার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছেন। সম্পত্তির পুরো খতিয়ান প্রকাশ করতে ব্যর্থ বরিস। ঋণ গোপন করার জন্য বরিসকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার বেকার তাঁর বান্ধবী লিলিয়ান ডে কার্ভালহো মন্টেরিওকে নিয়ে সাউথ ক্রাউন আদালতে হাজির ছিলেন। আইনজীবী রেবেকা চকলি জানান, বেকার ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের কাছে সত্য গোপন করেছেন। এমনকি সত্যি না জানিয়ে উইম্বলডন জয়ী তারকা অনেক কিছু গোপন করেছেন। এরপরই বিচারক বেকারের শাস্তি ঘোষণা