বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুল সাফল্যের পর ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না-দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন স্বয়ং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি সৌজন্যের নজির হিসেবে তাঁর সেই অভিমত ছিল। কিন্তু ভোটের পর তৃণমূলের কংগ্রেস ভাঙানো এবং অধীর সহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শাসক দলের হামলা অব্যাহত থাকার অভিযোগে প্রদেশ নেতৃত্ব এখন মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করল। ভবানীপুর ছাড়া ৩০ তারিখ জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। ওই দুটি কেন্দ্রে কংগ্রেস লড়াইয়ে না-থাকায় বামফ্রন্ট প্রার্থীদেরই তারা সমর্থন দেবে বলে ঠিক করেছে। সোমবার রাজ্য পার্টির এই অভিমতের কথা জানিয়ে দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার ছাড়লেন অধীররা। তবে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠনের প্রেক্ষিতে ভবানীপুর নিয়ে প্রদেশ নেতৃত্বের এই অভিমতে হাইকমান্ড শেষ পর্যন্ত সবুজসঙ্কেত দেয় কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। আজ মঙ্গলবার এসব বিষয়ে অধীরের সঙ্গে হাইকমান্ডের ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই আলোচনার পর কংগ্রেসের চূড়ান্ত অবস্থান স্পষ্ট হবে।