রাজ্য সরকারের জারি করা ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা রেশন ডিলারদের মামলা খারিজ করে দিল অবকাশকালীন বেঞ্চ। ওই বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি নির্দেশ না মানলে রেশন ডিলারদের শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ রয়েছে। আদালতের তরফে এদিন জানানো হয়, শাস্তি যতক্ষণ কাউকে দেওয়া না হচ্ছে ততক্ষণ এই নিয়ে আলোচনা অবান্তর। এর পরই মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতি শেখর ববি শরাফ। ফলে রাজ্যে দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে এখন আর কোনও কাঁটা রইল না। রেশন ডিলারদেরও এবার এই প্রকল্প নির্বিঘ্ন ভাবে সারতে হবে।
এদিনের শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে জানান, যারা দুয়ারে রেশন নিয়ে এই মামলা ঠুকেছে তাঁদের করা অন্য একটি মামলা ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেরই সিঙ্গল বেঞ্চ। রেশন ডিলারদের দাবি, তাঁদের কাছে বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই। কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চ তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছে, সাধারণ মানুষের বাড়িতেই রেশন পৌঁছে দিতে হবে। দুয়ারে রেশন না দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়। সেই নির্দেশকেই কার্যত ঘুরপথে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা ঠুকেছেন রেশন ডিলাররা। তাঁরা এখন দাবি করছেন রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিই বাতিল করে দিতে হবে। যদি সেটাই হয় তার অর্থ প্রকল্পকেই বাতিক করে দেওয়া। একইসঙ্গে ডিলাররা আদালতের কাছে আর্জি রেখেছেন কোনও রেশন ডিলার এই প্রকল্পে যোগ না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে যাতে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ নিতে না পারে তা সুনিশ্চিত করতে। কিন্তু যেহেতু মূল মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে তাই এই মামলা অবকাশকালীন বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের এই কথা শুনেই এদিন অবকাশকালীন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, হাইকোর্ট যখন খুলবে, যে দিন মামলার শুনানি ধার্য হয়েছে, সে দিনই এই মামলার শুনানি হবে। বিচারপতি শেখর ববি সারাফের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীদের উদ্দেশে বলে, ‘আবেদনটির কোনও যৌক্তিকতা নেই। আগে রাজ্য সরকার আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। তারপর আপনারা আদালতে আবেদন জানাবেন। আদালত ভবিষ্যতের কোনও পদক্ষেপ আন্দাজ করে নির্দেশ জারি করতে পারে না।’