ইন্দোনেশিয়ার ফুটন বন্দর থেকে কলকাতার একটি সংস্থার জন্য প্রায় আট হাজার মেট্রিক টন নিউজ প্রিন্ট পেপার পাল্প আনা হয়েছিল। মাল সরবরাহের দায়িত্বে ছিল সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থা। গত ২৫ জুলাই জাহাজটি হলদিয়া বন্দরে ঢোকার পরে দেখা যায়, ১৩১২ মেট্রিক টন পেপার পাল্প নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কলকাতার সংস্থাটি ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা দাবি করে সরবরাহকারী সংস্থার কাছ থেকে। কিন্তু ক্ষতিপূরণ কে দেবে— সরবরাহকারী সংস্থাটি, নাকি জাহাজ কোম্পানি, এই বিতর্কে টানাপড়েন চলতে থাকে। এরমধ্যেই কলকাতার বেসরকারি সংস্থার কাছে খবর আসে, আজ, সোমবার ভোরে জাহাজটি কলকাতা বন্দর ছেড়ে যাবে। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি মিটমাট হওয়ার আগে যাতে জাহাজটি বন্দর না-ছাড়ে, তা নিশ্চিত করতে তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কলকাতার কোম্পানিটি। সেই আবেদনের নিষ্পত্তি করতে প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রবিবার সন্ধেয় এজলাস বসিয়ে পদক্ষেপ করে হাইকোর্ট। বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় রাত ন’টা নাগাদ শুনানি করে নির্দেশ দেন, ওই জাহাজটিকে আটক করতে হবে। আজ সেটি কোনও ভাবেই বন্দর ছাড়তে পারবে না। আদালত শর্ত দিয়েছে, ১২ অগস্টের মধ্যে ৭ কোটি টাকা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে। তাহলেই জাহাজটিকে হলদিয়া বন্দর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। এই নির্দেশ রবিবার রাতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১২ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।