জেলা

ট্রেন বাতিল করে রোখা যাবে না তৃণমূলের ব্রিগেড

১০ মার্চ ব্রিগেডের ময়দানে তৃণমূলের জনগর্জন সভা। সেই সভা নিয়ে এখনই ভয়ে থরথর করে কাঁপছে বিজেপি। তাই ঘুরপথে সভা ভণ্ডুল করার চক্রান্ত করছে কেন্দ্র। উত্তরবঙ্গ থেকে কর্মী-সমর্থকদের আসার জন্য রেলের কাছে যে দুটি ট্রেন চেয়ে আবেদন করেছিল তৃণমূল, সোমবার বিজেপির চাপে চিঠি দিয়ে সেই আবেদন নাকচ করে দিল রেল। কিন্তু বিজেপির এই ষড়যন্ত্রে কোনওভাবেই দমানো যাবে না তৃণমূলকে, সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল দলীয় নেতৃত্ব। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির এই নোংরা রাজনীতির পর্দাফাঁস করে রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা এবং ব্রাত্য বসু জানান, এইভাবে চক্রান্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলকে আজ পর্যন্ত কেউ আটকাতে পারেনি, আগামী দিনেও পারবে না। ১০ মার্চের জনগর্জন সভায় দেড়গুণ লোক এনে দেখিয়ে দেব। দরকারে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষের আসার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গের কর্মী-সমর্থকদের কলকাতায় আসার জন্য আইআরসিটিসি’র কাছে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার থেকে দুটি ট্রেন চেয়েছিল তৃণমূল। সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে দুটি ট্রেনের জন্য ২২ লক্ষ টাকাও জমা দিয়েছিল দল। সবই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু এর মধ্যেই রেলকে নিজের বাপের জমিদারি ভেবে তৃণমূলের সভা বানচাল করার আসরে নামল বিজেপি। শেষ পর্যন্ত সোমবার রেলের তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, জনগর্জন সভার জন্য কোনও ট্রেন দিতে পারবে না ভারতীয় রেল। বিজেপির এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনীতি নিয়ে তৃণমূলের সাফ দাবি, ট্রেন বাতিল হলেও গর্জন বাতিল হবে না।এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা বলেন, বহিরাগত বিজেপির চাপে পড়েই টাকা জমা দেওয়া সত্ত্বেও তৃণমূলকে ট্রেন দিল না রেল। একদিকে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা থেকে বাংলাকে বঞ্চনা করে। আবার সেই বঞ্চনা নিয়ে প্রতিবাদের কণ্ঠও রোধ করার চক্রান্ত করে বিজেপি। ব্রাত্য বসু বলেন, বিজেপি আসলে যেকোনও গণআন্দোলনকেই ভয় পায়। কৃষক আন্দোলন হোক বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে তৃণমূলের ধরনা, বিজেপি সব আন্দোলনকেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চায়। কিন্তু তৃণমূলকে এইভাবে রোখা যাবে না। দরকারে উত্তরবঙ্গ থেকে দলের কর্মী-সমর্থকদের কলকাতায় আসার জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হবে। ১০ মার্চ জনস্রোতে ভাসবে ব্রিগেডের ময়দান। বাংলার বঞ্চিত মানুষের গর্জন দিল্লি পর্যন্ত কাঁপিয়ে দেবে।