মতপার্থক্য দমন করতে সন্ত্রাস-বিরোধী আইন প্রয়োগ করা উচিত নয়, জানিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাস্টিস ডঃ ধনঞ্জয়া যেশবন্ত ছন্দ্রচূড়। সোমবার ভারত এবং আমেরিকার আইনি চুক্তি সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিচারপতি। সেখানেই এই মত পোষণ করলেন। মতপার্থক্য দমনে কিংবা সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করতে সন্ত্রাস-বিরোধী আইন সহ কোনও ফৌজদারী আইনের অপব্যবহার করা যায় না। জাস্টিস চন্দ্রচূড় বলেন, ‘স্টেট বনাম অর্ণব গোস্বামী’ মামলায় আমার রায়ে উল্লেখ করেছিলাম, আমাদের আদালতগুলোর নিশ্চিত করতে হবে যাতে নাগরিক স্বাধীনতার প্রথম সারির রক্ষণ তারাই হয়।
‘একদিনও কারও স্বাধীনতা হরণ হওয়াটাই ভয়াবহ ব্যাপার। আমাদের সিদ্ধান্তগুলোর গভীরতর প্রক্রিয়ার বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন থাকতে হবে’, বললেন বিচারপতি। এই মন্তব্য আরও তাত্পর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে অতি সম্প্রতি ৮৪ বছরের সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর কারণে। এলগার পরিষদ কেসে সন্ত্রাস-বিরোধী আইন এবং বেআইনি কর্মকাণ্ড রোধী আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল স্ট্যান স্বামীকে। অসুস্থ থাকায় জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি, কিন্তু জামিন পাওয়ার আগেই মুম্বইতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এ নিয়ে ভারত তো বটেই, আমেরিকাতেও নিন্দার রোল উঠেছিল।