ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে কোনও আর্থিক সাহায্য করবে না কেন্দ্রীয় সরকার ৷ দীর্ঘ টালবাহানার পর বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে, এই মুহূর্তে বন্যা মোকাবিলা প্রকল্পের আওতায় নতুন প্রজেক্টে বিনিয়োগ করার মতো অর্থ নেই ৷ তবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার চাইলে আন্তর্জাতিক সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে এই মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ করতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যের পাশেই আছে ৷ প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনুমতি পেতে সমস্য়া হবে না ৷ এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এই প্ল্যানের প্রাথমিক কাজকর্ম শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর ৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে এবারের বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছে রাজ্য সরকার ৷ প্রতি বছর বর্ষায় ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ আর প্রত্যেক বার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রসঙ্গ ওঠে ৷ কিন্তু আর্থিক টানাপোড়েনের জটে আটকে ছিল এই কাজ ৷ ফি বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল ৷ গত 22 জুন বন্যা পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অভিনেতা-সাংসদ দেব ৷ তিনি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের আশ্বাসও দিয়েছিলেন ৷ এদিন কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, “আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি, ঘাটাল প্রজেক্টের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য তারা চাইলে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক বা এরকম অন্য কোনও সংস্থার থেকে ঋণ নিতে পারে ৷ আমরা এই পদক্ষেপকে সমর্থন করব ৷ প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ছাড়পত্রও দিয়ে দেব ৷” এই ক্ষেত্রে অসমের উদাহরণ তুলে ধরেন সরকারি আধিকারিক ৷ সম্প্রতি অসম সরকার ব্রহ্মপুত্র নদে বন্যা পরিস্থিতি প্রতিরোধে এই পদক্ষেপ করেছে ৷ আধিকারিক বলেন, “অসম সরকার ব্রহ্মপুত্রের প্রজেক্টের জন্য বাইরের এজেন্সি থেকে ঋণ নিয়েছে ৷ পশ্চিমবঙ্গও একই রাস্তায় হাঁটতে পারে ৷”


