জেলা

শিবপুরের পর এবার রিষড়া, রামনবমীর মিছিলে ঘিরে অশান্তি, আহত ওসি সহ একাধিক পুলিশ কর্মী, জারি ১৪৪ ধারা

রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুরের পর ফের হুগলির রিষড়ায় অশান্তি। জানা গিয়েছে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাকে ঘিরেই ছড়ায় অশান্তি বলে অভিযোগ। অভিযোগ, মিছিল চলাকালীনই আচমকা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। মিছিলের দিকে উড়ে আসে ইট। তা থেকে শুরু হয়ে যায় ধুন্ধুমার। এলাকায় শুরু হয়ে যায় ভাঙচুর। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় রাস্তার পাশের থাকা জিনিসে। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশ ছড়িয়ে নিয়ে যায় বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ জানান, ”শুধু ইট বৃষ্টি নয়, বোমাও পড়ছে।” স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশি ব্যবস্থা থাকলেও অশান্তি রুখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ এদিন ছিল না। যদিও ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কমব্যাট ফোর্স।  সূত্রে খবর, রিষড়ার মৈত্রী পথ সন্ধ্যা বাজার এলাকায় শোভাযাত্রা থেকে অশান্তি ছড়ায়। লাগাতার ইট বৃষ্টি শুরু হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। রিষড়া ওসি সহ একাধিক পুলিশ কর্মী আহত হন।

চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ৷ রাত ১২ টার পর কিছু এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হবে ইন্টারনেট পরিষেবাও ৷ এলাকায় গিয়েছেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি ও ডিইজি বর্ধমান রেঞ্জ শ্যাম সিং ৷ এদিন দার্জিলিংয়ে রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন দুর্বৃত্ত গুণ্ডা এবং অশান্তি সৃষ্টিকারীদের আমরা কঠোর হাতে দমন করব । গণতন্ত্র এভাবে ভূলুণ্ঠিত হতে পারে না । আমরা সংকল্পবদ্ধ এই ধরনের ঘটনা থেকে রাজ্যকে মুক্ত করার জন্য ৷ এই ধরনের ঘটনার অবসান ঘটাতে হবে । আইন ভঙ্গকারীরা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা শীঘ্রই বুঝতে পারবে যে তারা আগুন নিয়ে খেলছে। এর শাস্তি তারা পাবে ৷ পুলিশ বাহিনী ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়েছে ৷ আমরা এই ধরনের গুণ্ডামি নৈতিকতার বিরোধীদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শেষ করব এবং তার জন্য আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ । এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন শান্তিপূর্ণ মিছিলে পাথর ছোড়া হয়েছে ৷ পুলিশের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে বোমাবাজিও হয় ৷ এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন দিলীপ ৷ তবে এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপি র প্রাক্তন সভাপতিকে পালটা কটাক্ষ করেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর দাবি দিলীপ ঘোষ যে এই মিছিলে আসবেন তা পুলিশকে জানানো হয়নি ৷ তিনি আসার পরেই উত্তেজনা ছড়ায় ৷ মিছিলে বড় বড় বাঁশ নিয়ে বহিরাগতরা এসেছিল বলেও তাঁর অভিযোগ ৷ বাইরে থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে এসে প্ররোচনা দিয়ে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে কল্যাণের অভিযোগ ৷”