কলকাতা

মৎসজীবীদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ, ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

জ্যোর্তিময় দত্ত, কলকাতাঃ আজ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত নৌকার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এর জন্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। প্রায় ৮ হাজার ৭ টি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাছ ধরার জাল নষ্ট হ‌ওয়ার কারণে ৩৭,৭১১ জনকে ২,৬০০ টাকা করে দেওয়া হবে।গবাদি পশু ও  প্রাণী সম্পদের ক্ষতির জন‍্য ৩৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলো। আমফানের কারণে যাদের দুগ্ধবতী গরু মারা গিয়েছে তাদের জন‍্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পশুদের চিকিৎসার জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন এলাকায় ম্যানগ্রোভ অনেক সময় বাঁধকে ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে। ধ্বংস নয় সৃষ্টি চাই। এই ধ্বংস পুনর্নির্মাণ করার জন্য আগামী ৫ তারিখ বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানো হবে। এদিন মুখু ম ন্ত্রী এও বলেন, ‘৯-১০ দিনের মধ্যে আমফানে ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা পেলেন। এটা আগে কখনও হয়নি। রাজ্য সরকারের করোনার ত্রাণ তহবিলে ১০০ কোটি টাকা উঠেছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ার কাজে সেই টাকা খরচ হয়েছে‌। এই তহবিলের থেকে টাকা নিয়ে স্কুলপড়ুয়া, আশাকর্মী, আইসিডিএস, অঙ্গনওয়াড়ি, সিভিল ডিফেন্স, একশো দিনের কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার, পুলিশদের জন্য ৩ কোটি মাস্ক তৈরি করা হবে।’ এদিন সেচ, বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন দফতরের কাজের প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, পথে প্রচুর বাস নেমেছে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে পরিবহণ দফতর কন্ডাক্টর ও চালকদের জন্য বিমার ব্যবস্থা করছে। তবু কাউকে তাড়াহুড়ো করে অফিস আসতে হবে না। জোর করে ভিড় বাসে উঠতে হবে না। অফিসে আসতে দেরি হলে লাল কালির দাগ পড়বে না বা অ্যাবসেন্ট গন্য করা হবে না আগামী এক মাস। মাস্ক বাধ্যতামূলক করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর ২৪ পরগনা-সহ বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গির বিষয়েও সতর্ক থাকতে তিনি নির্দেশ দেন। তিনি এও জানান, ‘সরকারের মাধ্যমে ত্রাণ দিলে কোনও বৈষম্য থাকে না। না হলে দেখা যাবে এক জায়গার মানুষ দু-তিনবার পেলেন, কোথাও আবার একবারও পেলেন না। তাই ত্রাণ দিতে হলে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, আইসিদের মাধ্যমে দিন।” ত্রাণ দিতে গিয়ে রাজনৈতিক রঙ যাতে কোনওরকম ভাবে না দেখা হয় সেই নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ত্রাণ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হন। হতেই পারে কেউ আমার সমর্থক নন, কিন্তু তিনিও যেন বঞ্চিত না হন। সেই জেলা হবে সে‌রা জেলা যেখানে কোনও বঞ্চনার অভিযোগ আসবে না।’