আজ আচমকাই নানা জায়গায় খবর রটে যায় তৃণমূলে যোগ দিতেই শিখা মিত্রকে ফোন করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তাহলে খুব শীঘ্রই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে ফিরছেন শিখা মিত্র। কিন্তু এটা সবটাই রটানো। এদিন এমনটাই জানিয়েছেন সোমেন পুত্র রোহন মিত্র। আর এই খবরে ফের বিরক্ত তিনি। ভোটের আগেই বিজেপির তরফে চৌরঙ্গী আসনে শিখা মিত্রের নাম ঘোষণা করায় বিরক্ত হন রোহন। শিখা মিত্রও এই প্রার্থীপদ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। কিন্তু এবার তৃণমূলে শিখা যোগ নিয়ে রীতিমত বিরক্ত যুব নেতা রোহন। আজকে তৃণমূল নেত্রী ফোন করেছিলেন তাঁর মাকে কিন্তু দলে যোগদানের জন্য নয়। আজ সোমেন মিত্রের বাত্সরিক কাজ ছিল। সেই তারিখ মনে রেখেই ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এদিন এমনটাই জানিয়েছেন রোহন। তিনি জানিয়েছেন, ‘বাবার বাত্সরিকের তারিখ মনে রেখে উনি নিজেই মাকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে! উনি এর আগে তো তৃণমূল বিধায়কই ছিলেন। সেখান থেকে পদত্যাগের পর মা সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে এসেছিলেন। উনি তো অন্য কোনও দলে ছিলেন না। নির্বাচনের ফল বেরনোর পর মায়ের সঙ্গে কথা হয়। শারীরিক কিংবা নানান ব্যক্তিগত বিষয়ের সংবাদ নিতে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা প্রসঙ্গে বাবার বাত্সরিকের তারিখটি তিনি জানতে পেরেছিলেন। সেই তারিখ মনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ফোন করেছিলেন এটাই অনেক বড় ব্যাপার। সেদিন তিন থেকে চার মিনিট মায়ের সঙ্গে ওনার কথা হয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’ রোহন এদিন এও জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কমিটিতে যোগদানের প্রস্তাব মাকে দিয়েছিলেন। বাবা চলে যাওয়ার পর মায়ের মনের অবস্থা বুঝে তাঁকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকার জন্য উত্সাহ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, কাজের মধ্যে থাকলে মন ও শরীর ভাল থাকবে। সেই কথা সূত্রেই তিনি একটি কমিটিতে মাকে রেখেছেন সে কথা জানান।’ কিন্তু এর সঙ্গে সক্রিয় রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই বলেই জানিয়েছেন রোহন।