কলকাতা

কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে ২দিনের ধরনা কর্মসূচি মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে দু’দিনের ধরনা কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুর থেকে রেড রোডের কাছে অম্বেদকরের মূর্তির সামনে ধরনা কর্মসূচি শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সি, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব। টানা ৩০ ঘণ্টা তিনি অবস্থান করবেন বলে খবর। ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে রাজ্যকে বঞ্চনার প্রতিবাদ সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সুপ্রিমোর এই কর্মসূচি আজ ও কাল দু’দিন ধরে চলবে। আজ ধর্নামঞ্চে মূলত ৯টি ইস্যুকে সামনে রেখে প্রতিবাদে শামিল হবেন মুখ্যমন্ত্রী। কর্মসূচি শুরুর আগে ধর্নামঞ্চেও দেখা গেল এই ইস্যুগুলির উল্লেখ। ইস্যুগুলি হল- তৃণমূল সরকারের সাফল্যে প্রতিহিংসাপরায়ন বিজেপি সরকার বাংলাকে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা। ১০০ দিনের কাজে বকেয়া সাত হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। কাজ করেও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত প্রায় ১৭ লক্ষ পরিবার। আবাস যোজনায় কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা, ১১ লক্ষ্য ৩৬ হাজার পরিবার বঞ্চিত হচ্ছে পাকা বাড়ি থেকে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দ্বারা বিরোধীদের হেনস্থা।  আদানির স্বার্থে এলআইসি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে গচ্ছিত জনগণের অর্থ নয়ছয়ের  তদন্তের দাবি। পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাস আর কেরোসিনের দাম আকাশছোঁয়া। লাভজনক কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে যার ফলে কাজ হারাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ। ধর্ম ও জাতপাতের রাজনীতি করে সবার মধ্যে বিভেদ তৈরীর করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীন ভাবনা-চিন্তা মত প্রকাশের অধিকার কমে এসেছে ফলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে আঘাত আসছে। প্রসঙ্গত, এই অর্থবর্ষেও ১০০দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্প বাবদ রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে টালবাহানা করছে কেন্দ্র। বহুবার কেন্দ্রীয় দল অনুসন্ধান করে ফিরে গিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বলা বাহুল্য সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি তাতে। উপরন্তু বিভিন্ন সময় রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলিকে পুরস্কৃত করেছে কেন্দ্র সরকার। তারপরও রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দেওয়ার বেলায় অনীহাই দেখিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের এই আবহে ফের কেন্দ্রের প্রতিনিধদলকে আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে পাঠানো হবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদল সুর আরও চড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।