সিবিআই আধিকারিকরা আমাকে বলেছিল, আজ দেখে নাও। এটাই হয়তো আমাদের শেষ দেখা। আমাকে ওকে মেরে ফেলবো
সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রামপুরহাট আদালতের বিচারক। একই সঙ্গে মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং তাদের দাবি মেনে লালনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করবে সিআইডি-ও। ঘটনার পরই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। তিনি বলেন, “ভাস্কর ও বিলাস আমার স্বামীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। খুব মেরেছিল। সিবিআই আধিকারিকরা আমাকে বলেছিল, আজ দেখে নাও। এটাই হয়তো তোমাদের শেষ দেখা। আমাকে ওরা মেরে ফেলবো।” রেশমা বিবি আরও দাবি, তাঁদের ছেলেকেও খুনের হুমকি দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। মেয়ের সম্মানহানির হুমকিও দেওয়া হয়। রেশমা বিবির অভিযোগ, লালনের জিভ কেটে দেওয়া হয়েছিল সিবিআই হেফাজতে। মামলা ধামাচাপা দিতে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল সিবিআই, এমন বিস্ফোরক দাবিও করেছে পরিবার। রেশমার সাফ কথা, অভিযুক্তদের শাস্তি না হলে দেহ নেবেন না। সিআইডি তদন্তের আরজিও জানিয়েছিলেন লালনের স্ত্রী। রেশমার করা এফআইআরে নাম ছিল তিন সিবিআই আধিকারিকের।
লালনের মৃত্যু হওয়ায় মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত নথি আদালতে পেশ করে সিবিআই। সেই নথি খতিয়ে দেখা পর ওই ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক। এ নিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। সেই কমিটিতে রামপুরহাটের নিম্ন আদালতের এক বিচারপতিকেও রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।এই আবহেই মঙ্গলবার রামপুরহাট হাসপাতালে হয় লালনের দেহের ময়নাতদন্ত। বেলা সাড়ে ৩টে থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টা ধরে চলে লালনের দেহের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়। ময়নাতদন্ত করেন ৪ জন চিকিৎসকের একটি দল। সেই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে। লালনের দেহের ময়নাতদন্ত হলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তা নেয়নি তাঁর পরিবার। ফলে আপাতত মর্গেই রয়েছে তাঁর দেহ। পুলিশ রয়েছে হাসপাতালে।