ফের অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা ৷ ঘটনাস্থল শহরের প্রাণকেন্দ্র এক্সাইড মোড় ৷ ছিনতাইবাজ সন্দেহে এক যুবককে মারধর করে রাস্তায় ফেলে তাঁর বুকের উপর পা তুলে দিল এক সিভিক ভলান্টিয়ার । রবিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে যখন ঘটনাটি ঘটে তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বহু পথচারী ৷ ঘটনায় অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম তন্ময় বিশ্বাস । তিনি এক্সাইড মোড়েই ডিউটি করতেন। লালবাজার সূত্রের খবর, নগরপাল সৌমেন মিত্রের নির্দেশে ইতিমধ্যেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘অমানবিক’ অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৷ যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বঙ্গনিউজ। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে এক্সাইড মোড়ে রাস্তার উপর এক যুবক পড়ে রয়েছেন । বুট পরা অবস্থায় একটি পা তাঁর বুকের উপর তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। যুবক যতই পা সরানোর চেষ্টা করছেন ততই তাঁকে জোর করে রাস্তায় শুইয়ে দেওয়া হচ্ছে । সঙ্গে চলছে অকথ্য গালিগালাজ ৷ লালবাজারে এই ঘটনার খবর আসার পরেই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত ওই সিভিক ভলান্টিয়ার৷ তারপরই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বক্তব্য, এক্সাইড মোড় থেকে হাওড়াগামী একটি চলন্ত বাস থেকে মহিলার ব্যাগ ছিনতাই করে পালাচ্ছিলেন ওই যুবক। কোনওক্রমে বাসে থাকা অন্য যাত্রীরাই ওই যুবককে ধরে ফেলে। শুরু হয় গণপিটুনি । সেখান থেকে ওই যুবককে তিনি উদ্ধার করেন ৷ কিন্তু তাঁর হাত ছাড়িয়েও পালাতে যান সেই যুবক । ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, এরপর তিনি ওই যুবককে ধরে নেন। তারপরে ধাক্কাধাক্কিতে গোটা ঘটনাটি ঘটেছে । যদিও তন্ময়ের যুক্তি মানতে নারাজ অনেকেই। চুরি করলেও তার উপর এমন অমানবিক ব্যবহার করা উচিত নয় বলেই দাবি কারও কারও। এ বিষয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। জানান, ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে। ট্রাফিকের সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান তিনি।