শনিবার ভোররাতে 117 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দক্ষিণ 24 পরগনা কুলপি বাসস্ট্যান্ডের কাছে আগুন লেগে ভস্মীভূত একটি দোকান ৷ ঘটনায় সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে ওই দোকান-সহ সেখানে থাকা সব মালপত্র । দমকলের চারটি ইঞ্জিনের বেশ কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত প্রায় 3 টে 45 মিনিট নাগাদ কুলপি বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি দর্জির দোকানে ওই বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ৷ স্থানীয়রা প্রথমে আগুন দেখতে পেয়ে কুলপি থানাতে ফোন করেন ৷ ঘটনাস্থলে আসে কুলপি থানার পুলিশ ৷ পাশাপাশি আগুন নেভানোর জন্য ডায়মন্ড হারবার দমকল বিভাগ থেকে দু’টি ইঞ্জিন এবং কাকদ্বীপ দমকল বিভাগ থেকে দু’টি ইঞ্জিন আসে ৷ দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে । মূলত, এই দোকানে অনেক দাহ্যবস্তু মজুদ ছিল ৷ যার কারণে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং আগুনের লেলিহান শিখায় আশেপাশের কয়েকটি দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ওই দোকানের মালিক মাহাউর রহমান মোল্লা ৷ দোকানের এই অবস্থা দেখে মাথায় হাত তাঁর । মাহাউর রহমান মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে ওই দর্জি দোকানটি চালাতেন ৷ মূলত এইখানে বিভিন্ন কোম্পানির অর্ডারের মাল এনে তিনি দর্জির কাজ করতেন ৷ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় 7 লক্ষ টাকার হয় ক্ষতি বলে জানা গিয়েছে । সব হারিয়ে সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে রয়েছে পরিবার । কাঁদতে কাঁদতে দোকানের মালিক মাহাউর রহমান মোল্লা বলেন, “আমার দোকানের সব মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ৷ কোনও কিছুই বের করতে পারিনি ৷ প্রায় পাঁচ-সাত লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে ৷” দোকান মালিকের বাবা খয়র উদ্দিন আহমেদ মোল্লার কথায়, “রাত 3 টে 45 মিনিট নাগাদ ফোনে খবর পাই যে দোকানে আগুন লেগেছে ৷ তারপরে এসে দেখি দাউ দাউ করে জ্বলছে গোটা দোকান ৷ দামি-দামি মেশিন ছিল সব পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই ৷ কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে গেল আমার ছেলের ৷ সরকার সাহায্যে করলে খুব ভালো হয় ৷ তাহলে বাচ্চা নিয়ে ছেলেটা আবার ব্যবসা করে খেতে পারে ৷”