কলকাতা

‘দুয়ারে চাকরি’, ১১ হাজার বেকার যুবক- যুবতীর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

৩০ হাজার ছেলেমেয়ের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে

নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ১১ হাজার বেকার যুবক- যুবতীর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তিনি ঘোষণা করলেন, ‘দুয়ারে চাকরি’। এদিন তিনি আরও বলেন, ৬ জেলার প্রায় ১০ হাজার জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। এরমধ্যে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর খড়গপুর থেকে ৭ হাজার জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। তার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে চাকরি প্রাপকদের সংখ্যা প্রায় ১৭০০ জন। এদিন তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষায় এই রাজ্য মডেল হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।  আইটিআই পড়ুয়াদের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, এরাজ্যে যারা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে রয়েছেন তাদের গর্ব করা উচিত। গোটা ভারতে মাত্র বিভিন্ন ট্রেডে ২১ জন শীর্ষস্তান অধিকার করেছে। এদের মদ্যে ৯ জন বাংলার। এরজন্য শিক্ষক ও পড়ুয়াদের শুভকামনা জানাচ্ছি। আমার মনে হয়ে এদের উত্সাহ দিতে হবে যাতে বাংলা সব ট্রেডেই শীর্ষস্থান দখল করতে পারে। জলপাইগুড়ির রানিনগরে টাটারা শিল্প গড়ছেন। এতে বিনিযোগ হবে ৬০০ কোটি টাকা। এখানে বিশেষত্ব হল ৬৬ শতাংশ মহিলা ওখানে চাকরি করেন। গত এক বছরের পরিসংখ্য়ান দেখলে চোখে পড়বে গত ১ বছরে ৪৫ হাজার মেয়ে চাকরি পেয়েছে। স্কিল ডিপার্টমেন্ট থেকে উত্কর্ষ বাংলা তৈরি করা হয়েছিল। আজ উত্কর্ষ বাংলা তার উত্কর্ষতার নমুনা দেখিয়েছে। উত্কর্ষ বাংলা থেকে কয়েক হাজার ছেলেমেয়েকে চাকরির নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ই-মেলে চিঠি যাওয়া শুরু হবে আজ থেকেই। তিন দিনের মধ্যে আশাকরি সবাই নিয়োগপত্র পেয়ে যাবে। এদিন মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, রাজ্যের জব ফেয়ার-এ যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের নিয়োগদেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় আড়াই হাজার প্রার্থী নিয়োগপত্র পাচ্ছে।  এভাবেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, নদিয়া, কলকাতা, হুগলির পলিটেকনিক, আইটিআই পড়ুয়ারা রয়েছেন।  ৬ জেলায় মোট ১১ হাজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের কেউ কেউ কাজে যোগ দিয়েছে। কেউ নিয়োগপত্র পাবে। প্রসঙ্গত মমতা এদিন বলেন, যারা জেলা থেকে এসেছেন তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন জেলার নোডাল অফিসাররা। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এদিন বলেন, এভাবেই তিনটি অনুষ্টানের মাধ্যমে ৩০ হাজার ছেলেমেয়ের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে।