জেলা

‘দেশকে লুঠের জন্য বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার, দলিত ও আদিবাসীর হাত শক্ত করতেই মমতাদিদিকে সমর্থন’, তৃণমূলের প্রচারে এসে ঝড় তুললেন হেমন্ত

 বাংলায় এসে তৃণমূলের সমর্থনে প্রচারে নেমে ঝড় তুললেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বুধবার পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে মোট তিনটি সভা করেন তিনি। প্রতিটিতেই বিজেপি-র বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানান হেমন্ত। বাংলার ক্ষমতা দখলে নেমে ইস্তেহারে যে বিজেপির ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা নিয়ে কটাক্ষ করার পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের ‘‌ডবল ইঞ্জিন সরকার’ গঠনের দাবিকেও একহাত নেন ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার নেতা। বুধবার পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় মোট তিনটি জনসভায় তৃণমূলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে অংশ নেন হেমন্ত সোরেন। এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘‌কোথায় গেল ১৫ লক্ষ টাকার প্রতিশ্রুতি?‌ বছরে দু’‌কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতিরই বা কী হল!‌ কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা গেছে?‌ দেশ লুঠ করতেই ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়তে চায় বিজেপি। ঝাড়খণ্ডেও সরকারি সম্পত্তি বেচে দেওয়ার তালে ছিল। কিন্তু তা হতে দেইনি। বিজেপি সরকারকে গদিচ্যুত করে ২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় এসেছিলেন হেমন্ত সোরেন। তাঁর শপথ গ্রহণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলনেত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে দেখা গিয়েছিল হেমন্ত সোরেনকে। তবে বঙ্গভোটের শুরুতে শোনা গিয়েছিল, রাজ্যে এবার একাধিক আসনে প্রার্থী দেবে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা। তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা গিয়েছিল মমতা ব্যানার্জি। তার পরই জানা যায়, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তৃণমূলকেই সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোরেনের দল। ঘাসফুল শিবিরের হয়ে প্রচারে নেমে তিনি বলেন, ‘‌আমরা নানা সময়ে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং মেদিনীপুরে নির্বাচন লড়েছি। কিন্তু এবার রাজ্যের দলিত, আদিবাসীদের হাত শক্ত করতে মমতা ব্যানার্জিকেই সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’‌ গত লোকসভা ভোটে বিজেপির ১৮টি আসনে জয়ের প্রসঙ্গ টেনে সোরেন বলেন, ‘‌ঝাড়খণ্ডেও লোকসভায় ১৪টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে বিজেপি জিতেছিল। কিন্তু বিধানসভায় তারা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে।’‌