কলকাতা

‘আধার বিভ্রাটে এবার নয়া কার্ড রাজ্যের’, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আধার সমস্যা মেটাতে এবার আলাদা পোর্টাল তৈরি করল রাজ্য় সরকার। আধার কার্ড বাতিল হওয়াকে কেন্দ্র করে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, আধার কার্ডের বিকল্প কার্ড তৈরি করবে রাজ্য সরকার৷ যাঁদের আধার কার্ড বাতিল হচ্ছে তাঁদের হাতে রাজ্য সরকারের ওই পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হবে৷ ওই কার্ড দিয়েই রাজ্য সরকারের সব প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ পাবেন বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিন চারদিনের মধ্যেই নতুন কার্ড মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, কারও আধার কার্ড বাতিল হলে এবং আধার কার্ড নিয়ে কোনও সমস্যা হলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানোর জন্য একটি আধার গ্রিভান্স পোর্টালও আগামিকাল থেকে চালু করবে রাজ্য সরকার৷ আধার কার্ড বাতিল হলে সেই সংক্রান্ত অভিযোগ ওই পোর্টালে জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখবেন এটা পশ্চিমবঙ্গ, এটা দিল্লি নয়৷ জবাব দিন কেন আধার কার্ড বাতিল করছেন? এর পর বলবে এখন নাম কাটলাম পাঁচ বছর পরে নাগরিকত্ব দেব৷ এবার সংখালঘু, তফশিলি, মতুয়া ভাইবোনেরা বুঝতে পারছেন তো ওদের গেমপ্লানটা কী!’ মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, বেছে বেছে নমঃশূদ্র, মতুয়াদের আধার কার্ডই বাতিল করা হচ্ছে৷ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁর কাছে আধার কার্ড বাতিলের অভিযোগ এসেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি এ দিনও স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজ্যে কোনও ভাবেই এনআরসি কার্যকর করতে দেওয়া হবে না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, আমরা এসব এখানে করতে দেব না কারণ এটা বাংলা আমরা প্রতি পদে যুদ্ধ করছি ভোট ঘোষণা হওয়ার দশ পনেরো দিন আগে এটা কী ধরনের রাজনীতি৷ বিকল্প পরিচয়পত্র দেওয়ার ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আধার কার্ড নিয়ে যাঁরা ছেলেখেলা করছেন মানুষই তাদের আঁধারে ফেলে দেবেন৷ মনে রাখবেন এর বিচার হবে, কোনও অসুবিধা হলে আমাদের জানান, আমরা বিকল্প কার্ড দেব যার ফলে আপনার নাগরিকত্ব রক্ষা হবে, সব সুবিধাও পাবেন৷’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাঁদের আধার কার্ড বাতিল হচ্ছে তাঁরা বাতিল হওয়া আধার নম্বর দিয়ে রাজ্য সরকারকে জানালে বিকল্প কার্ড দেওয়া হবে৷ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যের বাসিন্দাদের সরকারি সুবিধা দেওয়া রাজ্যের দায়িত্ব৷ ফলে রাজ্য সরকার চাইলেই বিকল্প পরিচয়পত্র দিতে পারে৷