বিরোধী নেত্রী থাকার সময় তো বটেই পরবর্তীতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও বারবার সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন বাংলার মেয়ে মমতা ৷ তাঁদের মাঝে বসে শুনেছেন সমস্যার কথা ৷ কখনও বা রাস্তার ধারের চায়ের দোকানে ঢুকে বানিয়ে ফেলেছেন চা ! কখনও বা মোমো ৷ এসব ক্ষেত্রে সাধারণত প্রটোকল, নিরাপত্তা বলয়ের তোয়াক্কা করেন না মুখ্যমন্ত্রী ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চলতি পাহাড় সফরে ফের একবার ধরা পড়ল এরকমই এক দৃশ্য ৷ এবার ফুচকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী ৷সোমবারই দার্জিলিং পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার তাঁর এই সফরের দ্বিতীয় দিনে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই জনসংযোগ করতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । জিটিএ’র নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে রিচমন্ড হিলে ফেরার সময় আচমকাই একটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দোকান দেখে থেমে যান মুখ্যমন্ত্রী । দোকানটি দেখে চিনতে পারেন মমতা ।তিন মাস আগে গত ২
এপ্রিল পাহাড় সফরে গিয়ে জলাপাহাড় এলাকায় কিছু মহিলাদের মোমো বানিয়ে বিক্রি করতে দেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । সেদিন নিজের হাতে মোমোও তৈরি করেছিলেন তিনি । ওই মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করে তাঁদের জন্য একটি স্থায়ী পাকা দোকান তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক এস পুন্নমবলমকে । এদিন জিটিএ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে সেই দোকানটি দেখে চিনতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী । দ্রুত ওই মহিলাদের স্থায়ী পাকা দোকান তৈরি হয়ে যাওয়ায় খুশি প্রকাশ করেন তিনি । এরপরেই ওই দোকানে দাঁড়িয়েই নিজে হাতে ফুচকা বানাতে শুরু করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ফুচকা বানিয়ে বাংলাদেশের পর্যটক ও ছোট বাচ্চাদেরও খাওয়ান মুখ্যমন্ত্রী । তবে শুধু ফুচকা বানানোই নয়, ফুচকার জন্য আলুসেদ্ধ মাখা তৈরি করার রেসিপিও ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বাতলে দেন তিনি।