জেলা

মামলা আটঘাট বেঁধে করতে হবে, যাতে কেউ ছাড়া না পায়, কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে বলে পুলিসকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে বলে পুলিসকে কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের ওই গ্রামে স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ( ডিজির উদ্দেশে বলেন, ‘কেসটা এমনভাবে সাজাও, যাতে কেউ ছাড়া না পায়। আমি শুনেছি আগের যে মার্ডার কেসটা হয়েছিল, তিন চার বছর আগে সেই দোষী হাইকোর্ট থেকে বেল পেয়ে গিয়েছে। তাই কেসটা বেশ আটঘাট বেঁধে সাজাতে হবে।’ এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলারই সুচপুরের উদাহরণও তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুচপুরে যেমনটা হয়েছিল, লোকটা এখনও ছাড়া পায়নি। ঠিক তেমনভাবেই পরিবারের লোক, পাড়াপড়শিদের বক্তব্য নিয়ে মামলাটা সাজাতে হবে। এতে আমি কোনও গাফিলতির কথা শুনব না। আমি সরাসরি থাকবও না। কিন্তু যেন শুনতে না পাই, একে পেলাম না, ওকে পেলাম না। যেখানেই পালাক দোষীদের ধরে আনতে হবে।’ এরপরই রাজ্যের ডিজি মনোজ মালব্যকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, পুলিস প্রশাসনের যাদের গাফিলতি রয়েছে, সকলকেই কড়া শাস্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করতে হবে। বারবার বলা সত্ত্বেও ও পুলিস পাঠায়নি। হয় ও আত্মসমর্পণ করবে, না হলে যেখান থেকে পারবে, ধরে আনতে হবে।’ এছাড়াও এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে দিনরাত পুলিস পিকেট রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এখনও যাদের পরিবারের বাচ্চারা, মেয়েরা বেঁচে রয়েছে তাদের সুরক্ষিত রাখতে রাতদিন পুলিস পিকেট রাখতে হবে। সকালে রাখলাম, বিকেলে পালালাম, চলবে না। আবারও তাদের উপর হামলা হতে পারে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আছে এখানে। এটা মাথায় রাখতে হবে। কাজেই যাদের গাফিলতি ছিল, আমি চাই তাদের সকলের কঠিন শাস্তি।’