কলকাতা

রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল, দায়িত্ব বাড়ল মানস, চন্দ্রিমা, বাবুলের, কারা দফতর নিজের হাতেই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল। দায়িত্ব বাড়ল মানস ভুঁইয়া,  চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও বাবুল সুপ্রিয়ের। দফতর বদলে গেল  গোলাম রব্বানী। পরিবেশ দফতর থেকে সরিয়ে এবার তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হল অপ্রচলিত শক্তি দফতরের।  শিল্প পুনর্গঠন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হল বাবুল সুপ্রিয়কে ৷ সেক্ষেত্রে দায়িত্ব বাড়ল তাঁরও। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সদ্য মন্ত্রিত্ব হারানো অখিল গিরির কারামন্ত্রীর দায়িত্ব নিজের হাতেই রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলে নতুন মুখের প্রবেশ ঘটতে পারে বলে আগে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তেমন কোনও চমক এদিন দেখা যায়নি ৷ বরং নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে যেভাবে বারবার রাজভবন এবং রাজ্য সরকার সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে সেক্ষেত্রে নতুন কাউকে মন্ত্রী পদে এনে সেই সংঘাত আরও বাড়াতে চাইলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য, পরিবেশ, প্রোগ্রাম মনিটরিং, ভূমি-ভুমি রাজস্ব, উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতরের দায়িত্ব ৷ অন্যদিকে, গোলাম রব্বানিকে দেওয়া হয়েছে অপ্রচলিত শক্তি দফতরের দায়িত্ব ৷ অন্যদিকে মানস ভূঁইয়া পেলেন জলসম্পদ উন্নয়ন, সেচ এবং জলপথ পরিবহন দফতরের দায়িত্ব। এতদিন পর্যন্ত বাবুল সুপ্রিয়র হাতে ছিল শুধুমাত্র আইটি অর্থাৎ তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। এদিন এর পাশাপাশি তাঁকে দেওয়া হল শিল্প পুনর্গঠন দফতরের দায়িত্ব। প্রসঙ্গত, প্রায় ২৭ দিনের অপেক্ষার পর গতকালই মন্ত্রিসভা রদবদলের ছাড়পত্র দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে মন্ত্রিত্ব ছাড়া প্রাক্তন কারামন্ত্রী অখিল গিরির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তবে আপাতত এই কারাদফতর মুখ্যমন্ত্রী নিজের কাছে থাকছে তাই আগামিদিনে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।