জেলা

জিএসটি-র প্রাপ্য, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া এবং ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের অনুমোদন না দেওয়া নিয়ে ফের কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আগে রাজ্য সরকার ট্যাক্স আদায় করত, এখন রাজ্য করে না। এখন কেন্দ্র সরকার জিএসটি তুলে নিয়ে যায়।’ বৃহস্পতিবার, মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভা থেকে বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলন্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মঞ্চ থেকেই কড়া ভাষায় কেন্দ্রের মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । একশ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা সব ক্ষেত্রেই বাংলাকে বঞ্চিত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বঙ্গ বিজেপির নেতারা রাজ্যের বকেয়া দিতে নিষেধ করছেন দিল্লিতে গিয়ে। তাঁরা প্রতিহিংসামূলক ভোটের রাজনীতি করছেন। মানুষ পরিষেবা পেলে তাদের পত্রিকার অস্ত্র ভোঁতা হয়ে যাবে। উল্লেখ্য ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ছাড়াও আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামীণ রাস্তা থেকে আবাস যোজনার টাকা না দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘”আমরা ১১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করছি। গ্রামের রাস্তাগুলি খারাপ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা দিচ্ছে না। আবাস যোজনার টাকা শুধু প্রধানমন্ত্রীর নয়। রাজ্য–কেন্দ্র মিলে করে। রাজ্য থেকে জিএসটি’‌র টাকা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র। সেই টাকারই ভাগ দেয় না। বলছে, আধার লিঙ্ক না থাকলে ১০০ দিনের কাজে টাকা দেবে না। গরিব মানুষ কীভাবে আধার লিঙ্ক করবে? কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। বঞ্চনা করছে এবং মিথ্যা বলছে। ১০০ দিনের কাজে গ্রামের মানুষকে আধার লিঙ্ক করতে বলছে অনলাইনে। জীবনটাই অনলাইন করে দিতে চাইছে এরা। সব গ্রামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। অথচ লিঙ্ক করতে বলছে। বিজেপি নেতাদের কথায় কেন্দ্র আমাদের কোনও টাকা দিচ্ছে না।” ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়েও কেন্দ্রকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদি সরকারকে বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন না দেওয়ায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আটকে রয়েছে। সরকার পরিকল্পনা করলেও কেন্দ্রীয় সরকার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানকে অনুমোদন দিচ্ছে না। রাজ্যের মন্ত্রীরা দিল্লি গিয়ে এই নিয়ে কথা বলার পরও অনুমতি দেওয়া হয়নি।” মেদিনীপুরের সভা সেরে এরপর মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে যান পুরুলিয়ায়। এরপর রাতেই বাঁকুড়ায় যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সেখানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান।