কলকাতা

‘এটা জনবিরোধী এবং দিশাহীন বাজেট, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট’, বাংলাকে বঞ্চনায় সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

“এই বাজেট দিশাহীন বাজেট। এই বাজেট রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বাজেট। বাংলাকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত করা হয়েছে। বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। বাংলা ছেড়ে কথা বলবে না।” চাঁছাছোলা ভাষায় তীব্র সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোপ দাগেন, “একজনকে দিতে গিয়ে আরেকজনকে বঞ্চিত করা যায় না। অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহারকে টাকা দিচ্ছে, তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু বৈষম্য করা যায় না। সংবিধান অনুযায়ী কাউকে বঞ্চিত করা যায় না। বাংলা অনেক বড় রাজ্য। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। বাজেটে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কোনও উল্লেখ-ই নেই। খাবারে ভর্তুকি নেই। সোনায় ভর্তুকি দিয়েছে। বাংলাতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। সেখানে বাংলা একমাত্র রাজ্য কী দোষ করল যে বঞ্চিত করা হল? দিশাহীন বাজেটে শুধুই অন্ধকার অন্ধকার আর অন্ধকার।” নির্মলার বাজেট বক্তৃতায় পাহাড়ের মানুষদের কথাও উল্লেখ নেই, পাহাড়কে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, “দার্জিলিং থেকে ভোট নিয়ে যায় আর ভোটের পর ভুলে যায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্সিয়ংকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই বাজেট পুরোটাই পক্ষপাতদুষ্ট বাজেট।” প্রসঙ্গত, এবারের বাজেটে এনডিএ শরিক নাইডু ও নীতীশের জন্য কল্পতরু নির্মলা। বাজেটে বিহার ও অন্ধপ্রদেশের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে মোদি সরকার।  বিহারের জন্য  ২৬০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। সড়ক উন্নয়নে এই আর্থিক সাহায্য় করা হবে। বিহারে সড়ক যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার পাটনা এবং পূর্ণিয়া এবং বক্সার এবং ভাগলপুর এবং বোধগয়া, রাজগীর, বৈশালী এবং দরবাঙ্গাকে সংযোগকারী আরেকটি এক্সপ্রেসওয়ে বিকাশের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। সরকার এই উদ্দেশ্যে এছাড়াও, রাজ্য বক্সার জেলার গঙ্গার উপর একটি দ্বি লেনের সেতুও পাবে। পাশাপাশি, কোশী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণেও সাড়ে ১১ হাজার কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে এবারের বাজেটে। সেইসঙ্গে বিহারের ভাগলপুরের পিরপাইন্টিতে ২৪০০মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টেরও ঘোষণা করেছেন। পর্যটনের উন্নয়নে বিহারের গয়া ও রাজগিরকে কেন্দ্র করে মন্দির করিডরের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। ওদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী অমরাবতীর উন্নয়নের জন্য ১৫০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বাজেটে রাজ্যের প্রাপ্তি কার্যত শূন্য। ভাগ্যে জুটেছে একটি মাত্র বাণিজ্য করিডর। কলকাতা-অমৃতসর স্পেশাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডরের ঘোষণা করেছেন নির্মলা।