হক জাফর ইমামঃ আজ সকাল থেকেই হাওড়া স্টেশনে ছিল সাজসাজ রব। হাওড়া স্টেশনের ১১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। আরপিএফ ও রেলপুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ
মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যান হাওড়া স্টেশনে। এদিন হাওড়া স্টেশনে নবান্নের কর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রেলের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। তাঁরাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানান। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য রাজ্য সরকার একটি একজিকিউটিভ চেয়ার কার ভাড়া
নিয়েছিল রেলের থেকে। সেই কামরাটি ট্রেনের পিছনে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই কামরাতেই উঠে বসেন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্রেনটি সময়মতোই হাওড়া থেকে ছেড়েছে। সোমবার সন্ধ্যে ৭টা ১০মিনিট নাগাদ তিনি পৌঁছবেন
মালদা স্টেশনে। সফরসূচি অনুযায়ী, সোমবার রাতে তিনি মালদায় থাকবেন। ৭ ডিসেম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার কর্ণঝোড়ায় তিনি করবেন প্রশাসনিক বৈঠক। দুই দিনাজপুর জেলা নিয়েই সেই বৈঠক হবে। পরের দিন অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী দুপুর ১টা নাগাদ
ইংরেজবাজারে মালদা জেলার আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। সেই বৈঠক সেরেই তিনি পা বাড়াবেন মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর বহরমপুরের পথে। পরের দিন অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর তিনি দুপুর ১টা নাগাদ নদিয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরে
আরও একটি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গেছে, মালদা থেকে সড়কপথেই তিনি অন্যান্য জেলায় যাবেন। উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ বোলপুর স্টেশনে এসে পৌঁছয় নিউজলপাইগুড়িগামী শতাব্দী এক্সপ্রেস। সেখানেই
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরি, জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ সহ দলের নেতা ও কর্মীরা। ছিলেন জেলা শাসক বিধান রায় ও
জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী। ট্রেনের কামরায় দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা সেরে নেন অনুব্রত মণ্ডল। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁর পছন্দের খাবারও। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে বা নেত্রীর পছন্দের কী খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে তা বলতে
রাজি হননি অনুব্রত মণ্ডল। দলীয় সূত্রে খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের ঘরে ভাজা মুড়ি, আলুর চপ, খেজুরের গুড়ের তৈরি মণ্ডা সহ আরও বেশ কিছু পছন্দের খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে।