কলকাতা

বিজেপির নবান্ন অভিযানে নাকাল সাধারণ মানুষ, বন্ধ একাধিক রাস্তা

কার্যত রণক্ষেত্র পরিস্থিতি একাধিক এলাকা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বাতিল করা হয়েছে হাওড়া স্টেশনের একাধিক ট্রেন। বাতিল দূরপাল্লার ট্রেনও। ইতিমধ্যেই মহত্মা গান্ধী রোডে পুলিশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। কলেজ স্ট্রিট, হাওড়া ময়দান ও সাঁতরাগাছি থেকে তিনটি মিছিল বেরিয়েছে। এই তিন জায়গাতেই বিশাল পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। দাউদাউ করে জ্বলছে পুলিশের গাড়ি। ইট পাটকেল ছোঁড়া হচ্ছে যত্রতত্র। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অফিসমুখী যাত্রীদের অনেকেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে অনেকটা পথ হেঁটে তারপর গাড়ি পেয়েছেন। সমস্যায় পড়েছেন স্কুল ফিরতি পড়ুয়ারাও। কলকাতা-হাওড়ার বহু বাস বন্ধ হয়েছে।পরিস্থিতির আঁচ বুঝে কলকাতা ও হাওড়ার বেশ কিছু স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে অন্যান্য স্কুলের পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে। রাস্তায় যানবাহনের অভাবে অনেককেই হেঁটে হেঁটে পৌঁছতে হয়েছে। বিশেষ করে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে বহু মানুষকে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে হয়েছে।  কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই এক চিত্র। কলকাতায় বিজেপির বিভিন্ন জেলার মিছিলের প্রবেশ রোখার জন্য কড়া বন্দোবস্তে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দ্বিতীয় হুগলি সেতু ও হাওড়া সেতু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দু’টি সেতুতেই তৈরি ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। বিজেপির এই কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা ও হাওড়ায় গোলমাল হতে পারে এমন আশঙ্কায় আজ অনেকেই বাড়ি থেকে বের হননি। তবে যাঁরা বেরিয়েছেন, তাঁদেরও ভোগান্তির মুখে পড়তে হল সকাল থেকেই। লোকাল ট্রেন থেকে মেট্রো— সবেতেই অন্য দিনের তুলনায় ভিড় বেশি। সেই সঙ্গে সড়কপথেও যানবাহন কম। নিরাপত্তার কারণে অনেক রাস্তাতেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। বহু রুটে বাস নেই।