জেলা

নবান্ন অভিযানে বেরিয়ে আটক শুভেন্দু-লকেট-রাহুল

 বিজেপির নবান্ন অভিযান ছিল মঙ্গলবার। সেই অনুযায়ী তিন দিক থেকে তিনটি মিছিল এগিয়ে আসছিল নবান্নের দিকে। কিন্তু পুলিশে ব্যারিকেডে আটকানো হয় মিছিল। নবান্ন জুড়ে এদিন নিরাপত্তা ছিল আঁটোসাঁটো। কলকাতা জুড়েও ছিল কড়া নিরাপত্তা। বিজেপির একটি মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তাঁকেও বাধা দেওয়া হয়। দীর্ঘ বাদানুবাদের পরে আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিন দুপুরে দ্বিতীয় হুগলী সেতুর কাছে পিটিএসের সামনে পুলিশে ব্যারিকেডে বাধার মুখে পড়তে হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বাধার মুখে পড়ে শুভেন্দুকে দেখা যায়, ব্যারিকেডে ধাক্কা দিতে। এমনকি তিনি বারবার হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিতে থাকেন। তবে এতকিছুর পরেও এগোতে পারেনি মিছিল। পিটিএসের সামনেই আটকে থাকে বিজেপির ওই মিছিলটি।দুপুর পৌনে একটা নাগাদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে

আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। আগেই আটক করা হয়েছিল রাহুল সিনহাকে। সবশেষে দীর্ঘ বাদানুবাদের পরে শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে। তার আগে শুভেন্দুকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি একা। তাঁকে যেতে দেওয়া হোক। আরও বলেন, ‘যেতে না দিলে আমাকে অ্যারেস্ট করুন’। এদিন পুলিশের কাছে শুভেন্দু বলেন, ‘আমাকে মোটর সাইকেলে করে স্টেশনে পাঠান’। সবশেষে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আটক হওয়ার আগে তাঁর প্রশ্ন, কেন মহিলা পুলিশ কর্মী তাঁকে আটকানো বা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন? এর উত্তরে দু’ই পুলিশ আধিকারিক বলেন, পুলিশ মানে পুলিশ। এখানে ভেদাভেদ নেই।