‘৪০০ পারে’র স্লোগান দিয়ে ময়দানে নামে বিজেপি। এমনকি বিপুল জয়ের ইঙ্গিত দিয়ে লগ্নকারীদের শেয়ার কেনার পরামর্শ দেন মোদি-শাহ। এমনকি চার তারিখে শেয়ার পরামর্শ দেন একাধিক বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেশে গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত দেয় একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষা।পরের দিনেই শেয়ার বাজ্রে রেকর্ড বৃদ্ধি হয়। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের দিন অর্থাৎ চার মে ফলাফল প্রকাশ হতেই ঘুরে যায় খেলা। বড়-সড় ধস নামে শেয়ার বাজারে। লগ্নিকারীদের মাথায় কার্যত বাজ ভেঙে পড়ে। আর এই পুরোটার মধ্যেই কেলেঙ্কারি আছে। এমনকি সবথেকে বড় স্টক মার্কেট দুর্নীতি হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি রাহুল গান্ধীর। এমনকি এই বিষয়ে সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবিও তুলেছেন। এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল বলেন, “এই প্রথমবার দেখলাম প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলছেন। কেন পাঁচ কোটি বিনিয়োগকারীকে শেয়ার কেনার পরামর্শ দিলেন তাঁরা? বিনিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দেওয়া কি তাঁদের কাজ?” এখানেই শেষ নয়,আরও বলেন,”খেয়াল করে দেখুন এমন সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাঁরা এইসব পরামর্শ দিয়েছেন, যে সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে সেবির তদন্ত চলছে।” যদিও এই বিষয়ে পাল্টা কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। পীযুষ গোয়েলের দাবি, তৃতীয়বারের জন্য মোদির ক্ষমতায় আসায় বিচলিত রাহুল গান্ধী। আর সেই কারণে লগ্নিকারীদের ভুলপথে চালিত করছেন বলে তোপ বিজেপি নেতার। এখনও সরকার গঠন হয়নি। সর্বস্তরে আলোচনা চলছে। আর এর মধ্যেই বিজেপিকে আক্রমণ করতে ময়দানে নেমে পড়লেন রাহুল। একাধিক ইস্যুকে মাথায় রেখে সাংবাদিক বৈঠক করেন। রাহুল বলেন, একটি নির্দিষ্ট সংবাদ চ্যানেলে চারজুনের আগে শেয়ার বাজার কেনার পরামর্শ অমিত শাহ দিয়েছিলেন। ৪ জুন স্টক মার্কেটে রেকর্ড হবে বলেও দাবি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আর তা তুলে নব নির্বাচিত সাংসদ বলেন, বুথ ফেরত সমীক্ষায় ৩৭০ থেকে ৪০০ আসন এনডিএ পেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল।