দেশ

দেশে ৩১৬, বাংলায় ৩৪! বিজেপিকে হটানোয় আত্মবিশ্বাসী ইন্ডিয়া

সামনে এসেছে বেকারত্ব। মানুষ ভেবেছে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে। আজ, শনিবার শেষ দফার ভোটের আগে আত্মবিশ্বাসী মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’। আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধীর দলের গোপন অভ্যন্তরীণ রিপোর্টেও তার ইঙ্গিত। কংগ্রেস মনে করছে, ৩১৬’র বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসছে ‘ইন্ডিয়া’। সবচেয়ে বড় কথা, এই রিপোর্টে কংগ্রেস নিজেদের প্রাপ্তির হিসেবই করেনি। পুরো অঙ্কটাই হয়েছে জোটের। বাংলায় জোটবদ্ধ হয়ে ইন্ডিয়া লড়ছে না। তা সত্ত্বেও এই রাজ্যে তৃণমূল সহ শরিকদের মিলিত হিসেবই কষেছে রাহুল গান্ধীর দল। সেইমতো বাংলায় ৪২ আসনের মধ্যে ৩৪ আসন তারা ধরেছে ইন্ডিয়ার জন্য। অর্থাৎ, বিজেপি মাত্র আট। পশ্চিমবঙ্গের মতোই মহারাষ্ট্রে ৪৮ আসনের মধ্যে বিজেপি বিরোধী মহাবিকাশ অগাড়ি জোট ৩০ আসন পেতে পারে বলেই কংগ্রেসের হিসেব। দিল্লিতে সাতে সাত। বিহারে আরজেডি-কংগ্রেসের জোট ৩০। রাজস্থানে গতবার শূন্য ছিল কংগ্রেস। এবার মোদি বিরোধী জোট ১৩-১৬ আসন পেতে পারে বলেই হিসেব কংগ্রেসের। উত্তরপ্রদেশে ২২ আসনের বেশি ধরে রেখেছে ইন্ডিয়া। এমনকী গুজরাতেও কংগ্রেস-আপ সব মিলিয়ে দশের কাছাকাছি আসন আশা করছে। তামিলনাড়ু, কেরল, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাবে বিজেপি শূন্য। জগন্মোহন রেড্ডি, বিজেডি, শিরোমণি আকালি দল, বিআরএসের মতো দল, যারা কোনও জোটেই নেই, তাদের সম্মিলিত প্রাপ্তি ৩৪ হতে পারে বলেই কংগ্রেস মনে করছে। আর এই পরিস্থিতিতেই আজ দুপুরে বসছে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক। আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের মেয়াদ শেষ। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে ২ জুন তাঁকে তিহারেই ফিরতে হবে। সেই কারণে আজ সপ্তম দফার ভোট চলাকালীনই মোদি বিরোাধী দলগুলিকে একজোট রাখতে বৈঠক ডেকেছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে।