কোভ্যাক্সিনের তুলনায় কোভিশিল্ড বেশি সংখ্যক অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম, দাবি গবেষকদের। সাম্প্রতিক একটি গবেষণার পর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিশিল্ড নেওয়ার পর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বেশি সংখ্যায়। চিকিত্সক এ কে সিংহ এবং তাঁর সহকর্মীরা মিলে এই গবেষণা করেন। তাঁদের মতে, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন নেওয়ার পর সকলের শরীরেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে দেখা গিয়েছে এবং ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতেও যথেষ্ট সক্ষম প্রতিষেধক দুটি। এই গবেষণার জন্য ৫১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ৪২৫ জনকে কোভিশিল্ড এবং ৯০ জনকে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পর ৯৫ শতাংশের শরীরে বেশি অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে কোভিশিল্ড নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরে ৯৮.১ শতাংশ এবং কোভ্যাক্সিন নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের ৮০ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আইএমএ কোচির প্রাক্তন প্রধান, চিকিত্সক রাজীব জয়দেবন জানাচ্ছেন, রোগ বা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে শরীর কতটা প্রস্তুত এবং সুরক্ষিত সেটা অ্যান্টি-স্পাইক অ্যান্টিবডির উপর নির্ভর করে। গবেষণার পর দেখা যাচ্ছে, কোভ্যাক্সিনের তুলনায় যাঁরা কোভিশিল্ড নিয়েছিলেন তাঁদের শরীরে অ্যান্টি স্পাইক অ্যান্টিবডি বেশি। টিকা নেওয়ার পর ২৭ করোনায় আক্রান্ত হন। উপসর্গ দেখা গিয়েছিল মাত্র ২ জনের মধ্যে। গবেষণায় এও জানানো হয়েছে, টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ২.২ শতাংশ এবং কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে ৫.৫ শতাংশ।