পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত দিয়ে শুক্রবার প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম । তবে এদিন কেবলমাত্র জেলা পরিষদের আসনের তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে সিপিএমের তরফে । তাও মোট ৬৬টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে । জেলা পরিষদের বাকি ৩৫টি আসনের প্রার্থী তালিকা শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী ।তিনি বলেন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ব্লক স্তরের নেতারাই । তাঁরা শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবেন । আমরা পঞ্চায়েত ভোটে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত । কিন্তু তৃণমূল চায় না সুষ্ঠুভাবে ভোট হোক । সেই কারণে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বিরোধীদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে একতরফাভাবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে । সরকারের অঙ্গুলিহেলনেই চলছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার । এ নিয়ে কারও মধ্যে কোনও দ্বিমত নেই ৷ প্রসঙ্গত গতবার পঞ্চায়েত ভোটে উত্তর ২৪ পরগনায় জেলা পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ছিল ৫৭ । সেবার সিপিএম একাই লড়েছিল ৪৭টি আসনে । বাকি ১০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জোট শরিকরা । এবার জেলা পরিষদের আসন বেড়ে হয়েছে ৬৬ । সেই জায়গায় সিপিএম আপাতত ৩১টি আসনে লড়াই করতে চলেছে । বাকি 35টি আসনে শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক সিপিআইসহ অনান্যরা ঠিক কটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে কয়েকদিনের মধ্যেই । এমনটাই খবর সিপিএম সূত্রে । আশ্চর্যজনকভাবে শুক্রবার যে সমস্ত ব্লকে সিপিএম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে । তার মধ্যে কিন্তু বাদুড়িয়া ও সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের কোনও আসনে প্রার্থী নেই সিপিএমের । অর্থাৎ এই সমস্ত ফাঁকা আসন কংগ্রেস অথবা আইএসএফের জন্য খালি রাখা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ । যদিও এই নিয়ে খোলসা করে কিছু বলতে চাননি সিপিএমের জেলা সম্পাদক । বরং বিষয়টি দলের অভ্যন্তরীণ বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি ।এদিকে পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত দিয়েছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী । তাঁর কথায় তৃণমূল এবং বিজেপিকে রুখতে গেলে সবাইকে একজোট হতে হবে । সেই মনোভাব নিয়েই আমরা চলছি । তার মধ্যে কংগ্রেসসহ অন্যান্যদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে । কংগ্রেসও তাতে সাড়া দিয়েছে । একে জোট হিসেবে দেখাটা ঠিক নয় । নির্বাচনে সবাইকে একত্রিত করেই লড়তে হয় । পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে গেলে এছাড়া আর কোনও উপায় নেই ৷