কলকাতা

রাজভবনে শপথ নিলেন নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

অবশেষে স্থায়ী রাজ্যপাল পেল বাংলা। আজ রাজভবনে শপথ নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আজ, বুধবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সস্ত্রীক প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী , বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। অন্যান্য মন্ত্রী, বিধায়ক, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে রাজ্যপালের শপথে আমন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।   যদিও সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে সেখানে ছুটে হাজির হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ

সুকান্ত মজুমদার। ঠিক ১০টা বেজে ৪৫ মিনিটে রাজভবনের শপথগ্রহণ কক্ষে উপস্থিত হন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব শপথ বাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপালকে। এরপরই অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতা–মন্ত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন রাজ্যপাল। নীল হাঁড়িতে সাদা রসগোল্লা দিয়ে রাজ্যপালকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। কেরলের বাসিন্দা সিভি আনন্দ বোস কলকাতায় একটি ব্যাঙ্কে কাজ করতেন। তখন থেকেই বাংলার এই মিষ্টির ভক্ত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেটি মুখ্যমন্ত্রীর অজানা নয়। তাই নীল হাঁড়িতে সেই রসগোল্লা পাঠানো হয় রাজভবনে। পদবি বোস হলেও বাঙালি নন তিনি। কেরলেই তাঁর জন্ম প্রাক্তন এই আইএএস অফিসারের। একসময়ে তিনি ভারত সরকারের সচিব, মুখ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব সামলেছেন। মুসৌরির লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল আকাদেমি থেকে পড়াশোনা করেন। একাধিক জেলাশাসক, শিক্ষা, কৃষি, বন, শ্রম দপ্তরের উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন তিনি।