বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্ক নিয়ে এ বার মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । তাঁর মতে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্মানের দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন ৷ উল্লেখ্য, ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো ৷ সেই নিয়ে একটি শ্বেত পাথরের ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৷ তাতে আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও নাম নেই স্বয়ং গুরুদেবের ৷ এই নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে ৷ এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এ প্রসঙ্গে এ দিন রাজ্যপালের মত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, গুরুদেব আমাদের রক্তে । গুরুদেবের প্রতি মানুষের সম্মান রয়েছে । গুরুদেবের সম্মানের খেয়াল রাখা প্রয়োজন । ভারতবাসীর কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আবেগ ও শ্রদ্ধার । ফলে তাঁর সৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন । কোনও প্রশ্ন যাতে না ওঠে, সে দিকটা গুরুত্ব দিতে হবে । কারণ, সাংস্কৃতিক দিক থেকে বিশ্বের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক । এ দিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । সেই চিঠির জবাব এখনও রাজভবনে এসে পৌঁছায়নি বলে আজ জানান তিনি । এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমি চিঠি দিয়েছি । কোনও উত্তর আসেনি । বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংবিধানের নিয়মে চলবে । সংবিধানে যেটা আছে সেই অনুযায়ী চলবে । ১০০ দিনের বকেয়া টাকা নিয়ে দিন কয়েক আগে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি । তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে ধরনা দেওয়ার পর রাজভবনের সামনেও ধরনায় বসেন ৷ টাকা আদায়ের দাবিতে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তিনি । আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠির উত্তর কেন্দ্র থেকে পেয়েছেন রাজ্যপাল । সে বিষয়ে রাজ্যপাল জানালেন, যে চিঠি তিনি পেয়েছেন সেই চিঠি তিনি তাঁর সাংবিধানিক সহকর্মী অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন । চিঠিতে কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি বিষয়ে নিয়ে জানিয়েছে । তা মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেন । রাজ্যের চার দুর্গাপুজা কমিটিকে দুর্গা ভারত পুরস্কার দিয়েছেন রাজ্যপাল । কিন্তু চারটি পুজোকমিটি সেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছে । সে বিষয়ে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দিতে চাননি । বুধবার বেলা ১১টায় অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, কর্ণাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু এবং আন্দামান নিকোবের, চণ্ডীগড়, দিল্লি, লাক্ষাদ্বীপ, পুদুচেরি, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ দিবস রাজভবনে উদযাপন হয় । প্রত্যেকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাস থেকে তার ইতিহাস এবং সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা হয় । এই সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কলকাতায় বসবাসকারী বাসিন্দারা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন । নিজ নিজ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁরা । একইসঙ্গে, তাঁদের রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে পার্থক্য ও এখানকার আতিথিয়তা নিয়েও বক্তব্য রাখেন তাঁরা ।”