চার দিন পরেও গার্ডেনরিচে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার করা হল আরও এক দেহ। দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় আরও একটি দেহ নজরে আসে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম আবদুল রউফ নিজামি (৪৫)। এলাকায় তিনি পরিচিত ছিলেন শেরু চাচা নামেই। রাতেই তাঁর দেহ উদ্ধারের পর এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর ছেলেরা দেহ শনাক্ত করেন। গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার কারণে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েন ওই ব্যক্তি। দুর্ঘটনার পর থেকে এতদিন যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না তাঁর সঙ্গে। ঘটনার পরে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকেই শেরু ফোনে স্থানীয় কয়েকজনকে জানিয়েছিলেন, তিনি বেঁচে আছেন। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েক জন আটকে পড়ার কথা বলে তড়িঘড়ি তাঁদের বাইরে বের করার কথা জানিয়েছিলেন। এরপরেই ফোন বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল উদ্ধারকাজ একেবারে শেষের পথে। তবে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলবে। পরিবারের দাবি, শেরু বহুতলটিতে বিদ্যুতের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রবিবার রাতে ওই নির্মীয়মাণ বহুতলের কাছে গিয়েছিলেন শেরু। আর তারপরই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শেরুর পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, ছেলে এবং চার মেয়ে।