বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। সরকার পক্ষ কথা বলতে চেয়ে প্রস্তাব পাঠালেও মানতে চাননি তাঁরা। জানিয়ে দিয়েছেন, ‘রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ নয়’। দু’পক্ষের সংঘাতে বাংলাদেশে শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে আরও ৩ জনের। অন্য দিকে, সে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে সংবাদ সংস্থা এএফপি দাবি করেছেন, বাংলাদেশে শুক্রবার রাত পর্যন্ত সরকার এবং পড়ুয়াদের সংঘাতের জেরে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজেই ২৮টি দেহের সন্ধান মিলেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্টের দাবি, বাংলাদেশে নিহত হয়েছেন ৬৪ জন। বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এমনকি, মিছিল, সমাবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তাতেও আন্দোলন থামেনি। এই আবহে বাংলাদেশের জেলে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, নরসিংডি জেলার একটি জেলে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। জেল ভেঙে পালিয়ে যান বহু বন্দি। এএফপিকে জেলের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘আন্দোলনকারীরা জেলে আগুন ধরিয়েছেন। বন্দিরা পালিয়ে গিয়েছে। কত জন পালিয়েছেন, জানি না। তবে সংখ্যাটা শতাধিক হবে।’’