দেশ

বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বাঙালি তরুণীর নগ্ন-পচাগলা দেহ

বাঙালি তরুণীর নগ্ন পচাগলা দেহ উদ্ধার বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাটে। দেহের পাশে পাওয়া উদ্ধার মাদকও। পলাতক ওই তরুণীর ‘বাবা’! পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে যে, খুনের আগে ওই তরুণীকে যৌন নিগ্রহ করা হয়। ওই তরুণীকে ওই ঘরে শেষ দেখা গিয়েছিল বছর ৪০-এর এক যুবকের সঙ্গে।  পুলিশ জানিয়েছে, দেহে পচন ধরে যাওয়ায়, দেহে কোনও আঘাত রয়েছে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পরই নিশ্চিত করে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বলা যাবে। ওই তরুণীকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছিল কিনা, সেই সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া যাবে। সোমবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বেঙ্গালুরুর চান্দাপুরায় এক আবাসনের তৃতীয় তলা থেকে উদ্ধার হয় আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ওই যুবতীর নগ্ন, পচা-গলা দেহ। ঘর থেকে পাওয়া গিয়েছে মাদক ও একটি সিরিঞ্জও। যা থেকে মনে করা হচ্ছে যে, ওই তরুণীকে মাদক দিয়ে বেহুঁশ করে তারপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। নিহত যুবতীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মৃতার বয়স প্রায় ২৫ বছর। ওই আবাসনের মালিক সফ্টওয়্যার প্রযুক্তিবিদ সংকেত গুপ্ত স্ত্রীকে নিয়ে নীচের তলায় থাকেন। আর বাকি ফ্লোরগুলি ভাড়া দেন। গত ডিসেম্বরে সাফান বলে একজন নিজেকে ওড়িশার বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে একটি তলা ভাড়া নেন। তার পাশাপাসি চারতলার একটি এক বেডরুমের ফ্ল্যাট ও সংলগ্ন একটি রুমও ভাড়া করেন। এরপর জানুয়ারিতে সাফান জানান যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে আসছেন। তারপরই ২৮ তারিখ বাড়ি মালিক সংকেত গুপ্ত দেখেন, যে ঘরটি সাফান ভাড়া নিয়েছিলেন, সেখানেই ৪০ বছর বয়সী এক পুরুষ ও ২০ বছর বয়সী এক যুবতী। সাফানকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, তাঁরা তাঁর পরিচিত। আরও বলেন, তাঁরা বাবা-মেয়ে! ৩ দিন পর ঘর খালি করে দেবেন। এরপর ১০ মার্চ সংকেত গুপ্ত দেখেন ঘরের দরজা খোলা। আর ওই যুবতী কম্বল চাপা দিয়ে শুয়ে আছেন। তারপর দিনও ঘর পরীক্ষা করতে গিয়ে তিনি দেখেন, ওই যুবতী একইভাবে শুয়ে রয়েছেন। সেইসঙ্গে ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এরপর কম্বল সরাতেই কৃমিতে ভরে যাওয়া ওই যুবতীর নগ্ন, পচাগলা দেহটি দেখতে পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিসে খবর দেন তিনি। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। বেঙ্গালুরু জেলার এসপি মল্লিকার্জুন বলদান্ডি জানিয়েছেন, ঘর থেকে সাদা পাউডার জাতীয় পদার্থ ও একটি সিরিঞ্জও উদ্ধার করা হয়েছে। পাউডারটি মাদক বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। ওদিকে সাফানের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে দেখা যায়, তাঁর ফোন বন্ধ।