ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গল শনিবার (৩০ নভেম্বর) তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি উপকূল বরাবর করাইকল এবং মহাবলিপুরমের মধ্যে ৫০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন ৷ দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর গভীর নিম্নচাপটি ত্রিনকোমালি থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে গত ছয় ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার বেগে উত্তর দিকে সরে গিয়েছে । শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরের দিকে সরে গিয়েছে ৷ শনিবারই এই ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গলের ল্যান্ডফল হবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর গভীর নিম্নচাপটি গত ৬ ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়েছে ৷ ত্রিনকোমালি থেকে প্রায় 240 কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, নাগাপট্টিনমের ৩৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে, পুদুচেরির ৩৯০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে এবং চেন্নাইয়ের ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে এই গভীর নিম্নচাপ। দিল্লির মৌসম ভবনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপটির আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা এবং ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপের তীব্রতা বজায় রাখার খুব সম্ভাবনা রয়েছে । মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ক্রমাগত উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে, এটি ৩০ নভেম্বর সকালের দিকে করাইকল এবং মহাবলিপুরমের মধ্যবর্তী উত্তর তামিলনাড়ু-পুদুচেরির উপকূল অতিক্রম করার খুব সম্ভাবনা রয়েছে । মৌসম ভবনের তরফে ঘূর্ণাবর্তের গতিবিধি ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপের শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘ফেঙ্গল’-এর । আপাতত শ্রীলঙ্কা উপকূল পেড়িয়ে অভিমুখ তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে । যদিও বঙ্গে এর তেমন কোনও প্রত্যক্ষ প্রভাবে না ৷