বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর সভায় আশানুরূপ ভিড় না হওয়ায় হতাশ হয়েছিলেন বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা। কেন প্রধানমন্ত্রীর সভায় হ্যাঙ্গার ভরল না, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে কম জলঘোলা হয়নি। সেই সভার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভায় ভিড়ের বহর বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতার ছবি আরও স্পষ্ট করে দিল। এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মঞ্চে ওঠার পরও সামনের সিংহভাগ চেয়ার ফাঁকা পড়ে ছিল। কার্যত ফাঁকা মাঠে তাঁকে বক্তব্য রাখতে হয়। হাবড়ার কাশীপুর স্কুল মাঠে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভাতেও একই চিত্র। সেখানেও হাতে গোনা বিজেপি কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। এদিন দুপুর ৩টেয় মধ্যমগ্রামের গঙ্গানগর এলাকার একটি ছোট্ট মাঠে রাজনাথ সিংয়ের সভা করার কথা ছিল। বিকেল ৩টে নাগাদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর আসার কথা থাকলেও, তিনি নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা বাদে মাঠে এসে পৌঁছন। তাঁর আসার আগে সভাস্থল কার্যত গড়ের মাঠের চেহারা নেয়। অবস্থা দেখে মধ্যমগ্রামের বিজেপি নেতারা অস্বস্তিতে পড়ে যান। বার বার ফোন করে কর্মী-সমর্থক জোগাড়ের চেষ্টাও কার্যত বিফল হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ৪টে নাগাদ মাঠে পৌঁছে প্রায় শূন্য মাঠ দেখে হতাশ হন। প্রায় আধ ঘণ্টা তিনি অপেক্ষা করার পর একপ্রকার বাধ্য হয়ে গুটিকয় সমর্থকের সামনে বক্তব্য পেশ করেন।