খেলা

হায়দরাবাদকে ১৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালস

সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৭ রানে হারিয়ে আইপিএল ২০২০-এর ফাইনালে পৌঁছে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বড় স্কোর খাড়া করে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়াতে চেয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। পিচ মন্থর হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পরে ব্যাটসম্যানদের সমস্যা বাড়বে বলে মনে করেছিলেন দিল্লির অধিনায়ক। নেতা শ্রেয়স আইয়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে শুরুটা অসাধারণ করেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ওপেনাররা। শিখর ধাওয়ান ও মা্রকাস স্টইনিসের মধ্যে ৮৬ রানের পার্টনারশিপ হয়। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ফাস্ট বোলার সন্দীপ শর্মার বলে ৩ রানের মাথায় থাকা স্টইনিসের ক্যাচ ফেলেন জেসন হোল্ডার। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের টোটালে আরও ৩৫ রান যোগ করেন অজি অল-রাউন্ডার। পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা আসে স্টইনিসের ব্যাট থেকে। ২০ বলে ২১ রান করে আউট হন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। ক্রিজের অন্যদিক আঁকড়ে ধরে রাখেন দিল্লি ক্যাপিটালসের দ্বিতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান। ৫০ বলে ৭৮ রান করেন গব্বর। ৬টি চার ও দুটি ছক্কা আসে তাঁর ব্যাট থেকে। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২২ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শিমরোন হেটমায়ার। চারটি চার ও একটি ছয় আসে তাঁর ব্যাট থেকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস। ৪ ওভার বল করে ৪৮ রান দেওয়া শাহবাজ নাদিম কোনও উইকেট পাননি। একটি উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়েছেন জেসন হোল্ডার। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে এক উইকেট নেন সন্দীপ শর্মা। নিজের স্পেলে ৩২ রান দিয়েছেন টি নটরাজন। ৪ ওভার বল করে ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান। ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে হারিয়ে ফেলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২ রান করে কাগিসো রাবাডার বলে বোল্ড হন অজি ব্যাটসম্যান। আইপিএলে প্রথমবার ওপেন করতে নেমে ১২ বলে ১৭ রান করে আউট হন প্রিয়ম গর্গ। ১৪ বলে ২১ রান করেন মনীশ পান্ডে। ১১ রান করেন জেসন। অন্যদিকে স্বাভাবিক ছন্দে নিজের ব্যাটিং চালিয়ে যান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ভরসা কেন উইলিয়ামসন। তবে তিনিও ৪৫ বলে ৬৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কা আসে কিউয়ি অধিনায়কের ব্যাট থেকে। শেষবেলায় ১৬ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন আব্দুল সামাদ।