যন্তর মন্তরে কুস্তিগিরদের ধর্না মঞ্চ ক্রমশ রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হচ্ছে। তৃণমূল, কংগ্রেসের পর এবার আপও পৌঁছে গেল সাক্ষী-ভিনেশদের পাশে। সবার আগে দিল্লির ধর্নামঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দুই সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ও দোলা সেন গিয়ে, বজরংদের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়ে এসেছেন তাঁরা। শনিবার অর্থাৎ আজ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গিয়ে দেখা করেন সাক্ষীদের সঙ্গে। এসেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ধর্নামঞ্চে দাঁড়িয়ে কেজরি বলেন, ‘কুস্তিগিররা আমাদের দেশকে গর্বিত করেছে। তাঁরাই যন্তর মন্তরে বিগত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন। কুস্তিগিরদের অপমান করা হয়েছে। যারা মেয়েদের হেনস্থা করে তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, একটা এফআইআর দায়ের করানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়েছে। আন্না হাজারে এখানে এসে রাজনীতিটা বদলে দিয়েছেন। এই আন্দোলন ভারতীয় স্পোর্টসকে বদলে দেবে। যাঁরা দেশকে ভালোবাসেন, তাঁরা ছুটি নিয়ে এখানে আসুন। আন্দোলনে যোগ দিন।’ অপ্রাপ্তবয়স্ক সহ কুস্তিগীরদের পক্ষে ৩২ ধারার অধীনে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে। দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে ডব্লিউএফআই প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করার আবেদন করা হয়েছিল। পিটিশনে অভিযোগ করা হয় যে, ডব্লিউএফআই সভাপতির বিরুদ্ধে এফআইআর নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত দেরি হয়েছে। এমনকি ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে শুধুই যৌন হেনস্থা নয়, পকসো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনেও অভিযোগ রয়েছে। কুস্তিগিররা এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম রায়ে এবার কুস্তিগিরদের এফআইআর জমা নিচ্ছে দিল্লি পুলিস।