ক্রাইম

অপহরণ করে টানা ২ দিন ধরে যুবতীকে গণধর্ষণ, গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে নারকীয় অত্যাচার

ফের নির্ভয়াকাণ্ডের ছায়া। এবার এক যুবতীকে টানা দু’দিন ধরে গণধর্ষণের পর তাঁর গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে বস্তায় মুড়ে, হাত-পা বেঁধে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল রাস্তায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ অক্টোবর রাতে দিল্লির নন্দনগরীর বাসিন্দা ওই যুবতী গাজিয়াবাদের রাস্তায় অটোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ওই যুবতী গাজিয়াবাদে তাঁর ভাইয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই একটি যাত্রীবাহী গাড়িতে তাঁকে অপহরণ করে চার ব্যক্তি। এরপর একটি অজানা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তারপর দু’দিন ধরে তাঁকে গণধর্ষণ করে ওই চার জন এবং আরও অনেকে। তাঁর গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে চলে অত্যাচার।এরপর তার হাত পা বেঁধে একটি চটের বস্তায় মুড়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় রাস্তায়। বুধবার আশ্রম রোডের কাছে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে দিল্লির জিটিবি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই যুবতী। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ‘অনেক চেষ্টার পর রড’টি বের করা সম্ভব হয়েছে। মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক’। পুলিশ সূত্রে খবর, ৫ ব্যক্তির সঙ্গে মহিলার সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। মহিলার ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পাঁচ জনকে আটক করে গাজিয়াবাদ পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই দিল্লি কমিশন ফর উইমেনের তরফে একটি একটি নোটিস জারি করা হয়েছে। যেখানে গাজিয়াবাদ পুলিশকে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের বিশদ বিবরণ সহ একটি এফআইআরের প্রতিলিপি এবং ২১শে অক্টোবরের মধ্যে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। দিল্লি কমিশন ফর উইমেনের  চেয়ারম্যান স্বাতি মালিওয়াল টুইট করে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এক টুইট বার্তায় লেখেন,  “দিল্লির ওই মহিলা গাজিয়াবাদ থেকে রাতে বাড়ি  ফেরার পথে তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে গণ ধর্ষণ করা হয় এবং গণধর্ষণের পর ওই মহিলার গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া দেয়। আপাতত ওই মহিলাকে উদ্ধার করে দিল্লির একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। মহিলার অবস্থা গুরুতর।  ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও অবধি চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের একজনের নাম শাহরুখ বলে জানা গিয়েছে। গাজিয়াবাদের এসপি নিপুন অগরওয়াল বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ও অভিযুক্তদের মধ্য সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। সেই আক্রোশে এই গণধর্ষণ তথা পৈশাচিক অত্যাচার কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”