সরস্বতী পুজোর দিন সুসম্পন্ন হয়েছে দেবের ‘রঘু ডাকাত’-এর শুভ মহরৎ। কিছুদিন আগেই কাস্টিংও ঘোষণা করেছেন। এরপরই ‘রঘু ডাকাত’-এর জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন দেব। একেবারে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন অভিনেতা। এবার ঘোড়ায় চড়া শিখছেন টলিউড সুপারস্টার। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই শেয়ার করলেন প্রশিক্ষণের ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে দেবের পরনে নীল রঙা টি-শার্ট ও ট্র্যাক প্যান্ট, পায়ে সাদা কনভার্স জুতো, মাথায় সেফটি হেলমেট। ঘোড়ায় চড়ছেন সুপারস্টার। এই ছবি সামনে আসতেই দারুণ উৎসাহীও নেটিজেনরা। আসলে ‘রঘু ডাকাত’-র প্রস্তুতির কিছু লেন্সবন্দি মুহূর্ত সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সাংসদ- অভিনেতা তথা প্রযোজক। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘রঘু ডাকাত, আমার পরের কাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি…।’ বছর চারেক আগে শোনা যায় এবার রঘু ডাকাত রূপে সামনে আসবেন দেব। এতদিন ধরে অনুগামীরা অপেক্ষায় রয়েছেন কবে এই রূপে তাঁকে পর্দায় দেখা যাবে। বারবার বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে গিয়েছে ছবির শ্যুটিং। এবার নানা জট কেটে, শুরু হবে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ছবির শ্যুট। ‘গোলন্দাজ’ -এর চূড়ান্ত বক্স অফিস সাফল্যের ফর ফের জুটিতে কাজ করবেন ধ্রুব -দেব। বলাই বাহুল্য দর্শকদের প্রত্যাশাও থাকবে তুঙ্গে। এসভিএফ ও দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্সের যৌথ যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে ছবিটি। দেবের ছবিতে ফের জায়গা পাকা করেছেন ইধিকা পাল। শুধু তাই নয়, ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন সোহিনী সরকার। এই প্রথম দেবের ছবিতে কাজ করবেন নায়িকা। ‘রঘু ডাকাত’-এ দেখা যাবে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকেও। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, দেবের ছবিতে এবার নাকি খলচরিত্রে অভিনয় করবেন অনির্বাণ। অষ্টাদশ শতাব্দীর সময়কালে বাংলার সাধারণ মানুষের নিপীড়ন ও অবিচারের বিরুদ্ধে ‘মসিহা’ হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রঘু ডাকাত। ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ এই কাল্পনিক গল্পের নায়ক রঘু আজও বাঙালিদের মনে বেঁচে আছেন। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্র, তাই সেরা অভিনয় দক্ষতাটুকু দিয়েই নিজেকে উজার করে দেবেন দেব। এমনটাই আশা পর্দার নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী- দেবের। মা কালীর সঙ্গে রঘু ডাকাতের নাম বার বার উঠে আসে। কারণ তিনি ছিলেন কালীর একনিষ্ঠ উপাসক। এমনকী ডাকাতি করতে বেড়ানোর আগেও কালিকার পুজোই করতেন তিনি। এই রঘু ডাকাতকে ঘিরে রয়েছে নানা জল্পনা, গল্পকথা। বলা ভাল তাঁকে নিয়ে বাঙালিদের কৌতূহলের শেষ নেই। এখন যেন তিনি ‘রহস্য’ হয়েই রয়েছেন বাঙালি মননে। শোনা যায়, হুগলি জেলার মগরায় বাসুদেবপুর গ্রামে এক সময় প্রতিষ্ঠিত ছিল এক ডাকাত কালী মন্দির। যা মূলত রঘু ডকাতের মন্দির নামেই পরিচিত। প্রচলিত কথা অনুযায়ী, ইংরেজরাও ভয় পেতেন এই রঘুকে। অত্যাচারী জমিদারদের থেকে লুথ করে আনা ধন -সম্পদ তিনি মিলিয়ে দিতেন গরীবদের মধ্যে। তবে শুধু হুগলী না, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ সহ আরও একাধিক জায়গায় রঘু ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত কালী মন্দিরের কথা শোনা যায়। হাতেনাতে প্রমাণ না মিললেও, অনন্ত লোক মুখে শুনে যুগ যুগ ধরে এটাই বিশ্বাস করা হয় যে বাস্তবে তিনি ছিলেন।
