জেলা

বড়মার ঘর ‘দখলকাণ্ডের’ পর ঠাকুরবাড়িতে পুলিশ, তালা খুলে বার করা হল জরুরি নথি, নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতাবালা

রবিবার রাতে ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর সোমবারও উত্তেজনা ছড়াল গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে। পুলিশের মধ্যস্থতায় ঘরে থাকা জরুরি নথিপত্র হাতে পেলেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। জানা গেছে, মতুয়াদের প্রয়াত বড়মা বীণাপাণিদেবীর ঘরের ‘দখল’ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির বিদায়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। ২০১৯ সালে প্রয়াত হন বীণাপাণি দেবী। ঠাকুরবাড়িতে যে ঘরে তিনি থাকতেন, সেই ঘরেই রবিবার রাতে দলবল নিয়ে শান্তনু চড়াও হন বলে অভিযোগ ওঠে। দাবি, শাবল, হাতুড়ি দিয়ে তিনি নিজেই তালা ভাঙেন। পরিবারের আরও কয়েক জন ছিলেন তাঁর সঙ্গে। বীণাপাণিদেবী বেঁচে থাকাকালীন তাঁর পাশের ঘরে থাকতেন ঠাকুরবাড়ির বড় বৌমা মমতাবালা। বর্তমানে তিনি থাকেন বীণাপাণিদেবীর ঘরটিতেই। মমতাবালার দাবি, শান্তনু ঘর ‘দখল’ নেওয়ার পর সারা রাত তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে বাইরেই থাকতেই হয়েছে। রাতের দিকে শান্তনু-ঘনিষ্ঠ কয়েক জন মতুয়া ভক্ত সদর দরজায় তালাও লাগিয়ে দেন। যার ফলে তৃণমূল সাংসদের জরুরি নথিপত্র ভিতরে থেকে গিয়েছিল। সোমবার দুপুরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেগুলিই বার করে এনে মমতাবালার হাতে তুলে দেওয়া হয়। মমতাবালার বক্তব্য, ১৯৮৫ সাল থেকে ওই বাড়িতে থাকেন তিনি। শান্তনুরা সেখানে থাকেন না। রবিবার রাতের ঘটনার পর বিষয়টি তিনি পুলিশ-প্রশাসনকে জানাবেন বলেও জানিয়েছিলেন। তৃণমূল সাংসদের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, সোমবার মমতাবালা গোটা বিষয়টি পুলিশের কাছে জানান। এর পরেই পুলিশ ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে মমতাবালার কিছু জরুরি নথিপত্র ঠাকুরবাড়ি থেকে বার করে আনে। ঠাকুরবাড়ির ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছেন মমতাবালা। তিনি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী নানা জায়গায় নারীর সশক্তিকরণ নিয়ে অনেক কথা বলেন। তাঁর দলের লোক মহিলাদের উপর এ ভাবে অত্যাচার করছে! রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে যদি আমাকে এই অত্যাচার সহ্য করতে হয়, তা হলে ভাবুন, ২০২৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এলে দেশের সাধারণ মহিলাদের হাল কী হবে? আমি সমগ্র নারী সমাজের কাছে বিচার চাই।’’ শান্তনু মতুয়াদের আবেগে আঘাত করেছেন বলে দাবি করেছেন মমতাবালা। তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি, বড়মার প্রতি যে কোটি কোটি মানুষের শ্রদ্ধা রয়েছে, সেই শ্রদ্ধাকে আঘাত করেছে শান্তনু ঠাকুর।’’