কলকাতা

অস্বস্তিতে ইডি! পার্থর কাছ থেকে এখনও মিলল না নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি

প্রথমে ২ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছিল ইডি। এসএসকেএম- ভুবনেশ্বর এইমসের পর ১০ দিন ইডি হেফাজতে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। ফের ২ দিন ইডি হেফাজতে পার্থ। সামনে এসেছে বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির পরিমাণ, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, বাড়ি- জমি- গাড়ি- কোম্পানি। কিন্তু এখনও অবধি তাঁর কাছ থেকে ইডি উদ্ধার করতে পারল না নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রামাণ্য নথি! ১২০ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা বললেও এখনও উদ্ধার হল না সমস্ত টাকা। টাকার উৎসেরও তথ্য-প্রমাণ সামনে আনেনি ইডি। প্রশ্ন উঠছে কেন? শুধু মাত্র বছরের পর বছর সারদা- নারদা’র মত পলিটিক্যাল ইস্যু হয়েই রয়ে যাবে তবে এই মামলা? মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দলের সমস্ত পদ থেকেও সরানো হয়েছে পার্থকে। তৃণমূলের দাবি, দ্রুত নিষ্পত্তি হোক এই মামলার। দাবি, টাকার উৎসের খোঁজ করা হোক। একই দাবি বিজেপি বিরোধী অন্যান্য সমস্ত রাজনৈতিক দলের।  ইডি এই ক’দিনে কলকাতার বিভিন্ন জায়গা ও জেলা জুড়ে চালিয়েছে ‘ছানমিন’। ইডি’র দাবি  পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে এসএসসি টেটের সংশোধিত তালিকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেই তালিকা ২০১২ সালের। দাবি, মিলেছে অর্পিতার বাড়ির ৭ টি সম্পত্তির দলিল ও ৩০৪ পাতার নথি। অন্যদিকে, অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকার মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের একটি খাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল সম্পত্তি- টাকা- নথির সঙ্গে উদ্ধার হওয়া  কালো ডায়েরি সহ আরও ২ টো ডায়েরি থেকে হদিশ মিলেছে টাকা লেনদেনের হিসেব। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ কেন সামনে আসছে না, উঠছে প্রশ্ন।