দেশ

কয়লা সঙ্কটের জের, দুই জোনে ১ হাজারের বেশি ট্রেনযাত্রা বাতিল করলো রেল

দেশে আরও তীব্র হচ্ছে কয়লা সঙ্কট। এই পরিস্থিতিতে হাজারেরও বেশি ট্রেনযাত্রা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, এর ফলে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠতে চলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত ট্রেন বাতিলের পুরোটাই করা হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব-মধ্য রেল (এসইসিআর) এবং উত্তর রেলে (এনআর)। রেলের অন্য জোনগুলিতে অন্তত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ট্রেনযাত্রা বাতিলের কোনও প্রভাব পড়েনি। এমনটাই দাবি করা হয়েছে রেল বোর্ডের শীর্ষ সূত্রে। এক্ষেত্রে দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করে ওই পথে আরও বেশি করে কয়লা বোঝাই পণ্যবাহী ট্রেন চালানো হচ্ছে। এদিন রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই জোনের মোট ৪২টি ট্রেনের ১ হাজার ৮১টি ‘ট্রিপ’ বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেলে বাতিল রয়েছে ১ হাজার ৪১টি ট্রেন। এর মধ্যে মেল, এক্সপ্রেস রয়েছে ৪৭৯টি এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন রয়েছে ৫৬২টিঅন্যদিকে, উত্তর রেলে ট্রেন পরিষেবা বাতিলের সংখ্যা ৪০টি। এসইসিআরের ক্ষেত্রে আপাতত আগামী ২৪ মে পর্যন্ত ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, উত্তর রেলের বাতিল ট্রেন চালু হয়ে যাবে আগামী ৮ মের মধ্যেই। এখন এই ট্রেনযাত্রা বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাইছে রেল বোর্ড? সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, যেমন পুরী-লোকমান্য তিলক টার্মিনাস সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস একটি ট্রেন। এবার এই ট্রেনের আপ এবং ডাউন মিলিয়ে সপ্তাহে কতবার চলাচল করে এবং মাসের শেষে তার জার্নির সংখ্যা কত, সবটাই তার ‘ট্রিপ’ কিংবা ‘সার্ভিস’-এর আওতায় আসবে। অর্থাৎ, একটি ট্রেনের একাধিক ট্রিপ থাকাই স্বাভাবিক। ফলে একটি ট্রেন বাতিল হলেও আদতে তার সার্ভিস কিংবা ট্রিপ বাতিল হচ্ছে একাধিক। ভোগান্তিও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। যদিও রেল সূত্রে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, এই ট্রেন বাতিলের ফলে দিনে গড়ে ৪০০টিরও বেশি রেকে কয়লা বোঝাই সম্ভব হচ্ছে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বাধিক। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, দিনের পর দিন প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিলের ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদেরও। বহু যাত্রী চিকিৎসার কারণে ভিন রাজ্যে যাবেন বলে আগে থেকেই ট্রেনের টিকিট বুকিং করে রাখেন। ট্রেন বাতিলের ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাঁরাও।