জেলা

‘DVC-র সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবে রাজ্য সরকার’, বন্যা পরিদর্শনে গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারি মমতার

ডিভিসি রেকড় ছাড়া জলে প্লাবিত বাংলার বহু এলাকা। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। বুধবারই বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে ‘ম্যান মেড’ বন্যার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি যান পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। পাঁশকুড়ার মঙ্গলদারি গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ত্রাণ নিয়ে যেন কোনও অভিযোগ না আসে। সরকার যথেষ্ট অর্থ সাহায্য করছে। অভিযোগ আসলে প্রশাসন ধরবে জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে। ডিভিসি’র সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবে রাজ্য। এর পর আর সম্পর্ক রাখা যায় না।’ দুর্গতদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্র কেন ড্রেজিংয়ের নির্দেশ দিচ্ছে না? এদিন বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে গণআন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, ‘বারবার বলার পরেও গত তেরো বছর ধরে ড্রেজিং করছে না কেন্দ্র এই ইস্যুতে এবার আন্দোলনে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।’ হাওড়া ও হুগলি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলির আরামবাগ, গোঘাটের মতো অঞ্চলের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। খানাকুলে রূপনারায়ণ নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের দিক থেকে শিলাবতী ও আরামবাগের দিক থেকে দ্বারকেশ্বর, এই দুই নদীর মিলিত জলে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়।