খেলা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই! মোহনবাগানকে ৩-২ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল

ডার্বিতে মোহনবাগানকে এদিন ৩-২ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল ৷ গোল করে এবং করিয়ে কল্য়াণীতে এদিন কলকাতা লিগের বড় ম্য়াচের নায়ক সায়ন বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ অতীতে সিনিয়র ডার্বিতেও জ্বলে উঠতে দেখা গিয়েছিল এই বাঙালি তরুণ তুর্কিকে ৷ এদিন কল্যাণীতে ইস্টবেঙ্গল আক্রমণভাগকে নেতৃত্ব দিয়ে গেলেন সায়ন ৷ সুযোগ হাতছাড়া না-হলে ইস্টবেঙ্গলের নামের পাশে এদিন পাঁচ গোলও লেখা হতে পারত ৷ সে যাইহোক মর্যাদার লড়াইয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় লাল-হলুদকে লিগ টেবিলে তুলে আনল পাঁচে ৷ অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধে দুর্ধর্ষ প্রত্য়াঘাত ছুড়ে দিয়েও মাথা নীচু করে মাঠ ছাড়ল সবুজ-মেরুন ৷ ডার্বিতে দেবজিৎ মজুমদার, এডমুন্ড লালরিনডিকা, মার্তান্ড রায়না, ডেভিড লালহ্লানসাঙ্গাদের মত সিনিয়র দলের উপস্থিতি লাল-হলুদে ৷ পক্ষান্তরে মোহনবাগান স্কোয়াডেও দীপেন্দু বিশ্বাস, কিয়ান নাসিরি, সুহেল ভাটদের মত সিনিয়র দলের তারকাদের ছড়াছড়ি ৷ সবমিলিয়ে গ্য়ালারিতে মাত্র ১০ হাজার সমর্থক থাকলেও কলকাতা লিগের ডার্বিরও গনগনে আঁচ টের পেল কল্যাণী ৷ ৯ মিনিটে গোলের খাতা খোলে ইস্টবেঙ্গল ৷ ডানপ্রান্তিক আক্রমণে সায়ন বিপক্ষ ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বল সাজিয়ে দেন জেসিন টিকে’র জন্য ৷ যা থেকে গোল করতে ভুল করেননি গতবার লিগের সর্বাধিক গোলদাতা ৷ শুরুর দিকে লাল-হলুদের মুহুর্মুহু আক্রমণ সামলে খানিক খেলায় ফিরেছিল বাগান ৷ কিন্তু প্রথমার্ধে কোনও গোল করতে পারেনি ডেগি কার্ডোজার ছেলেরা ৷ ৩১ মিনিটে অধিনায়ক সন্দীপ মালিকের বাড়ানো বল ধরে সুহেল দেবজিৎকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ ৷ ফিরতি বল ফাঁকা গোলে ঠেলার বদলে পোস্টে মারেন কিয়ান ৷ উল্টে প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে সায়নের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইস্টবেঙ্গল ৷ দ্বিতীয়ার্ধে প্রত্যাঘাত ছুড়ে দেয় বাগান ৷ ৫৫ মিনিটে কিয়ানের কর্নার দীপেন্দু হেড করে নামালে বিনা বাধায় গোল করে যান লিওয়ান কাস্তানহা। ৬৭ মিনিটে মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোলদাতা কিয়ান নিজেই ৷ লাল-হলুদ গ্যালারিকে স্তব্ধ করে তখন আশায় উজ্জীবিত সবুজ-মেরুন জনতা ৷ কিন্তু তাঁদের উচ্ছ্বাস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি ৷ ৬৯ মিনিটে আমন সিকে’র পাস থেকে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জয়সূচক গোল ডেভিডের ৷ এরপর দু’দলই গোলের সুযোগ পেলেও ফায়দা তুলতে ব্যর্থ ৷ বিশেষ করে ইস্টবেঙ্গল ৷ ৮৮ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও নিজের দ্বিতীয় গোল করতে ব্যর্থ ডেভিড ৷ ম্যাচে চোট পেয়ে বেরিয়ে যান ইস্টবেঙ্গলের জেসিন টিকে এবং মোহনবাগানের সালাউদ্দিন। দুই দলই পরিবর্তন করে। লিড নেওয়ার পরে সময় নষ্ট করতে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের। তবে সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনীতে নামে মোহনবাগান। একাধিক সুযোগ মিস করেন সুহেল, কিয়ানরা। তাই প্রথমার্ধে যে দর্শনীয় ফুটবলের সাক্ষী ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা, সেটা হারিয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধে।