ইস্টবেঙ্গল -২ চেন্নাইয়িন-০
চেন্নাইয়ের মাঠে গিয়ে চেন্নাইকে হারাল ইস্টবেঙ্গল। হারতে থাকা, ধ্বস্তবিধ্বস্ত একটা দল ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে আইএসএলে। নেপথ্যে এক স্প্যানিশ কোচ। অস্কার ব্রুজোঁ। এখনও অস্কার প্রাপ্তি হয়নি বটে ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু সাপ-লুডোর আইএসএলে অস্কার কিন্তু ধীরে ধীরে আলো নিয়ে আসছেন ইস্টবেঙ্গলের সাজঘরে। এদিন পয়েন্ট তালিকায় লাল-হলুদের থেকে উপরে থাকা চেন্নাইয়িনকে মাটি ধরাল লাল-হলুদ ব্রিগেড। এ তো একপ্রকার সিংহের গুহায় ঢুকে সিংহ শিকার করার মতোই ব্যাপার। অস্কার ব্রুজোঁর বিশল্যকরণীর ছোঁয়ায় ইস্টবেঙ্গল ঘুরে দাঁড়াচ্ছে একটু একটু করে। যদিও দিল্লি এখনও ঢের দেরি। ইস্টবেঙ্গল কতদূর যাবে, কী করবে, তার উত্তর দেবে সময়। তবে অস্কারের জাদুদণ্ডের ছোঁয়ায় একটু একটু করে লাল-হলুদ উজ্জ্বল হচ্ছে। আইএসএলে বিদেশিদের ভিড়। ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে দেন তাঁরাই। কিন্তু শনিবার বিষ্ণু ও জিকসন সিং লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাবে এনে দিলেন তিন পয়েন্ট। মহামূল্যবান এই তিন পয়েন্ট। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পরে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে গেল। যদিও প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে ধরা পড়ল অনেক ফাঁকফোকর। কিন্তু জিততে থাকলে দুর্বলতাগুলো ঢেকে যায়। বিরতির পরে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে বিষ্ণু প্রথম গোলটি করেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। কিন্তু গোলের পুরো কৃতিত্ব বোধহয় সল ক্রেসপোর। নিজেই বল নেওয়ার জন্য জায়গা নিলেন, তার পরে পাস দিলেন অরক্ষিতে থাকা বিষ্ণুকে। গোলে বল ঠেলা ছাড়া দ্বিতীয় কোমও কাজ ছিল না বিষ্ণুর। গোলের পরে শূন্যে হৃদয় আঁকলেন ইস্টবেঙ্গলের মালায়লি উইঙ্গার। ততক্ষণে অবশ্য অস্কার ব্রুজোঁ তুলে নিয়েছেন দিয়ামান্তাকোসকে। মাঠে পাঠান ক্লেটন সিলভাকে। লাল-হলুদে নিজের ভবিষ্যৎ পড়ে ফেলা ক্লেটন সুযোগ পেয়েছিলেন গোল করার কিন্তু ঠোঁট আর কাপের মধ্যে যে ব্যবধান, তা থেকেই গেল। প্রথম গোলের পিছনে সল ক্রেসপোর অবদান থাকলেও হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ায় তাঁকে তুলে নিতে বাধ্য হন ইস্টবেঙ্গল কোচ। সেই ক্রেসপোই আবার রেফারির সঙ্গে তর্ক করে হলুদ কার্ড দেখায় পরের ম্যাচে নামতে পারবেন না। অভাবের এই সংসারে স্প্যানিশ কোচের চিন্তা বাড়ল। সল ক্রেসপোর পরিবর্ত হিসেবে নামা জিকসনের কামান দাগা শট এনে দেয় দ্বিতীয় গোল। অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে হেডে গোল করেছিলেন জিকসন। এদিন দু’স্টেপের জোরালো শটে চেন্নাইয়িনের জাল কাঁপান জিকসন।