খেলা

মোহনবাগানকে ১-০ গোলে হারালো ইস্টবেঙ্গল 

নব্বই মিনিট শেষ। ছয় মিনিট অতিরিক্ত সময়। আচমকা প্রবল বৃষ্টি। টানা আট জয়ের পর বাগানের এই হারে যেন বদলে গেল প্রকৃতিও। শেষ বাঁশি বাজা মাত্র অঝোর বৃষ্টির মধ্যে মাঠে ছুটে গেলেন রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলাররা। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেলিব্রেশনে মত্ত লাল হলুদ ফুটবলাররা। বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস। তাতে সামিল সমর্থকরাও। গ্যালারি টপকে মাঠে ঢুকে পড়ে ফ্যানরা। কেউ নন্দকুমারকে কোলে তুলে নিলেন, কেউ আবার সটান খাবড়াদের পায়ে পড়লেন। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে এই টুকরো টুকরো ছবি দেখা গেল যুবভারতীতে। হবে নাই বা কেন, অবশেষে থামল মোহনবাগানের অশ্বমেধের ঘোড়া। হল না নয়ে-নয়। আটের গেরোয় আটকে গেল সবুজ মেরুন। শনিবার মরশুমের প্রথম ডার্বিতে ১-০ গোলে জিতল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের একমাত্র গোল নন্দকুমারের। চার বছর পর ডার্বির রং লাল হলুদ। ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি শেষ বড় ম্যাচ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। তারপর থেকে শুধুই হার। আইএসএলে প্রথম জয় লাল হলুদের। এদিন ইস্টবেঙ্গল জিতবে সেটা কোনও অতি বড় সমর্থকও ভাবতে পারেনি। তাই যুবভারতীর লাল হলুদ গ্যালারি এদিন ভরেনি। প্রায় ৫০ হাজার সমর্থকের মধ্যে পাল্লাভারী ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু রেজাল্ট উল্টো। ম্যাচের ৬১ মিনিটে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।‌ মাঝমাঠে বোরহার থেকে বল পেয়ে একক দক্ষতায় অনেকটা জমি অতিক্রম করে অনিরুদ্ধ থাপাকে পেরিয়ে বাঁ পায়ের শটে দুরন্ত গোল নন্দকুমারের। এই জয়ের ফলে সরাসরি ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা খুলে গেল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। দুই ম্যাচে কুয়াদ্রাতের দলের পয়েন্ট ৪। গ্রুপের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব এফসিকে হারাতে পারলেই ৭ পয়েন্ট নিয়ে শেষ আটে চলে যাবে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে কোয়ার্টারে যেতে বেস্ট অফ টু নিয়মের ওপর নির্ভর করতে হবে। এদিন ম্যাচের শুরুতে দুই দলের ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হন ভিকি কৌশল। বিরতিতেও মাঠে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের তারকা।